দামাস্কাস: দীর্ঘ ১৩ বছরের গৃহযুদ্ধের বিভীষিকা কাটিয়ে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে সিরিয়া (Syria)। বাশার আল-আসাদের পতনের পর, অস্থির পরিস্থিতি তৈরি হয় দেশজুড়ে। তবে এখন আবার সিরিয়ার পুনর্গঠনের দিকে মনোযোগ দিয়েছে নতুন বিদ্রোহী সরকার। বন্ধ হয়ে যাওয়া স্কুলগুলি আবারও খুলেছে। দীর্ঘদিন পর পঠনপাঠন শুরু হওয়ায় স্কুলমুখী হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। একই সঙ্গে, ধর্মীয় স্থানে সমবেত প্রার্থনাও শুরু হয়েছে। রবিবার দামাস্কাসের বাব তৌমার গির্জায় খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের প্রার্থনায় যোগদান ছিল এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত।
সিরিয়ার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পথে। কিন্তু ইজরায়েলি (Israel) সেনা এখনও দেশটির উপর একের পর এক হামলা চালাচ্ছে। তবে নতুন বিদ্রোহী সরকার সংঘাত নয়, বরং কূটনৈতিক সমাধানের দিকেই অগ্রসর হতে চায়। বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শাম-এর নেতা আবু মুহাম্মদ আল-জোলানি জানিয়েছেন, ইজরায়েলের সঙ্গে সংঘর্ষ এড়িয়ে সিরিয়ার পুনর্গঠনে মনোযোগ দেওয়াই তাঁদের লক্ষ্য।
আরও পড়ুন: ভিসা ছাড়াই রাশিয়া ভ্রমণের সুযোগ! কীভাবে? জেনে নিন
বাশারের শাসনকালকে বারবার স্বৈরাচারী বলে অভিযুক্ত করেছে বিদ্রোহীরা। নতুন বিদ্রোহী সরকার ক্ষমতায় আসার পর আন্তর্জাতিক মঞ্চে সিরিয়ার ভূমিকা এবং ভবিষ্যৎ নিয়ে নজর রাখছে বিভিন্ন দেশ। আমেরিকা জানিয়েছে, তাঁরা সিরিয়ার সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতার জন্য সব পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখবে। অপরদিকে, বাশারের ‘বন্ধু’ ইরানও (Iran) সিরিয়ার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। রাষ্ট্রপুঞ্জও (United Nations) সিরিয়ার স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে। কিন্তু সিরিয়ায় কি শান্তি ফিরতে দেবে নেতানিয়াহুর সেনা? এটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন।
দেখুন আরও খবর: