বহরমপুর: পুলিশের (Police) বিরুদ্ধে যুবককে মারধর করার অভিযোগ উঠল। চিকিৎসার প্রয়োজনে রোগীকে টাকা দিতে গিয়ে রাস্তাতেই পুলিশের হাতে নিগ্রহের স্বীকার হয়েছেন ডোমকলের (Domkol) মামুদপুরের বাসিন্দা মুকুল মন্ডল (Mukul Mondal)। তিনি ডোমকল পুরসভার অস্থায়ী কর্মী। পুলিশের মাররে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন মুকুল। ঘটনার কথা ভাবলেই আঁতকে উঠছেন তিনি। ন্যায় বিচারের দাবিতে এবার পুলিশেরই দারস্থ হলেন ওই নিগৃহীত যুবক। মঙ্গলবারই ঘটনার কথা জানিয়েছেন ডোমকলের মহকুমা পুলিশ আধিকারিককে।
জানা গিয়েছে, গত ২৯ ডিসেম্বর শুক্রবার স্তন ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত বেনুয়ারা বিবিকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করান মুকুল। মামির অপারেশনের জন্য প্রয়োজন ছিল টাকার। শনিবার মুমুর্ষু রোগীকে বাইকে করে টাকা দিতে যাচ্ছিলেন তিনি। ওইদিন বিকেলে ডোমকল থানার কথাবাড়িয়া-নাজিরপুরের মাঝামাঝি রাস্তায় তাকে আটকায় ৩-৪ জন কর্তব্যরত সিভিক ভলেন্টিয়ার। তারা গাড়ির কাগজ দেখতে চাইলে তিনি বলেন, গাড়ির কাগজপত্র বাড়িতে রয়েছে। তাকে কিছু সময় দিলে কাগজপত্র নিয়ে আসতে পারবেন। তার কোনও কথা না শুনেই জোরপূর্বক পুলিশের গাড়িতে তোলা হয়। ওই গাড়ির ভেতরেই তাঁকে এলোপাথাড়ি চড়-থাপ্পড় মারা হয় বলে অভিযোগ। পাশাপাশি অকথ্য ভাষায় গালিগালাজও করা হয়।
আরও পড়ুন: পরিবহণ আইন এখনই নয়, ঘোষণা কেন্দ্রের
যুবকের কথায়, হেলমেট পরে ছিলেন তিনি। তাঁর কাছে আধার কার্ড এবং ড্রাইভিং লাইসেন্সও ছিল। সেগুলো দেখানো হয়। কিন্তু পুলিশ কর্মীরা আসল কাগজ দেখতে চান। তা দেখাতে না পারায় তার উপর শারীরিক নিগ্রহ করা হয় বলে অভিযোগ। ওই নিগৃহীত যুবকের আরও অভিযোগ, তাকে থানায় নিয়ে আসার সময় হুমকিও দেন ডোমকল থানার সাব-ইন্সপেক্টর রবিউল আলম মির্জা। ডোমকল মহকুমা হাসপাতালে মেডিক্যাল করাতে নিয়ে যাওয়ার সময় শাসানি দিয়ে বলা হয়, ডাক্তারের কাছে যাতে কিছু না বলি। বললে সমস্যা আরও বাড়বে। অন্যদিকে, মঙ্গলবার ন্যায় বিচারের দাবিতে ডোমকলের মহকুমা পুলিশ আধিকারিককে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন মুকুল। পাশাপাশি এসপি ও ডিএম’কে পোস্টের মাধ্যমেও অভিযোগ জানানো হয়েছে। পুলিশি ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মানবাধিকার সংগঠন এপিডিআর।
আরও খবর দেখুন