নয়াদিল্লি: সারাদিন ধরে চলা কেন্দ্রীয় সরকারের নয়া আইনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নিল ট্রাক সংগঠনগুলি। মঙ্গলবার রাতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, এই নতুন আইন এখনই কর্যকর হচ্ছে না। সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলে কোনও সমাধান সূত্রে পৌঁছলে তারপর এই আইন কার্যকর হবে। বিভিন্ন মহল মনে করছে, দেশ জুড়ে তুমুল বিক্ষোভের ফলেই পিছু হঠতে হল কেন্দ্রীয় সরকারকে।
গত কয়েকদিন ধরেই বিভিন্ন রাজ্যে ট্রাক মালিকরা জঙ্গি বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। চলছে অবরোধ। মঙ্গলবার উত্তরপ্রদেশের মৈনপুরে ট্রাক মালিকদের বিক্ষোভ সামাল দিতে পুলিশ গুলি চালায়।
আরও পড়ুন: আদানি-হিন্ডেরবার্গ মামলার রায় আজ
কেন্দ্রের নয়া আইনের বিরোধিতায় সারা দেশজুড়ে ট্রাক চালক এবং খালাসিরা ধর্মঘটের (Truck Strike) শামিল হয়েছেন। তেলের ট্যাঙ্কগুলিও এই আন্দোলনে নেমেছে।ফলে সারা দেশে জ্বালানি তেলের ঘাটতি দেখা দিতে পারে বসলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই ধর্মঘটের জেরে গ্যাস পরিষেবা দেওয়াও বন্ধ করে দেন গাড়ি চালকরা। বিভিন্ন গ্যাস সরবরাহকারী সংস্থাও জানিয়ে দেয়, চূড়ান্ত সঙ্কট দেখা দিতে পারে।
এদিন সকাল থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পেট্রোল পাম্পের সামনে লম্বা লাইন পড়ে যায়। ফলে যানজটের সৃষ্টি হয়। সারা বাংলায় ২৫০০ পেট্রোল পাম্পের মধ্যে ৭০০ পেট্রোল পাম্প এদিন বন্ধ ছিল বলে জানিয়েছেন ওয়েস্ট বেঙ্গল পেট্রোলিয়াম ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের ওয়ার্কিং প্রেসিডেন্ট প্রসেনজিৎ সেন। রাতে অবশ্য পরিস্থিতি পাল্টে যায়। পরিবহণ মালিকরা ধর্মঘট, বিক্ষোভ তুলে নেন। বুধবার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে দাবি সংশ্লিষ্ট মহলের।