এক হতাশা আমরা বেশ কিছুদিন ধরে দেখেই যাচ্ছি মোদি অ্যান্ড কোম্পানির ম্যানেজিং ডিরেক্টর নরেন্দ্রভাই দামোদরদাস মোদি বা তলার সারির যাবতীয় নেতাদের কথাবার্তায়। ১০ বছর শাসনের পরে এই প্রথম এক রাজনৈতিক দল ভারত জুড়ে কোনও এক নির্দিষ্ট স্লোগান, কোনও এক নির্দিষ্ট কর্মসূচিকে সামনে রেখে ভোট চাইতে পারছে না। বরং প্রায় প্রতিদিন গোলপোস্ট পাল্টাচ্ছে, নিত্যনতুন কথা বলছে, প্রতিদিন ধর্মীয় পোলারাইজেশনের চেষ্টা কোনও স্বাধ্বী ঋতাম্ভরা বা সাক্ষী মহারাজ বা আদিত্য যোগী করছেন না, সে দায় নিজের কাঁধেই নিয়েছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী। এবং খুব ছোট ছোট কিছু বিষয় দেখলে বোঝা যাবে যে প্রতিটা আসনের জন্য জান লড়িয়ে দেওয়া শুধু নয়, যা যা করার তাই করে যাচ্ছে ওই মোদি অ্যান্ড কোম্পানি। শুরুর দিকে কি এতটা ছিল? বরং উল্টো, শুরুর দিকে তো আমাদেরই মনে হয়েছে কংগ্রেস বড়জোর খান দশ আসন এক্সট্রা পাবে, তার বেশি আর কী? ৩০৩ কি তার ১০টা বেশি পাঁচটা কম এরকম এক আবহে ভোট শুরু হল। আর প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই বুঝতে পারা গেল, আমরা পণ্ডিতরা যে তত্ত্ব জ্ঞানভাণ্ডার উজাড় করে আরএসএস–বিজেপির ফ্যাসিজম ইত্যাদির বিরোধিতা করছিলাম, মানুষ তার বিরোধিতা তাদের নিজেদের মতো করেই করা শুরু করেছে। এমন এমন আসন থেকে এমন এমন হিন্টস আসতে শুরু করল যে আমাদের আবার নতুন করে হিসেব নিকেশে বসতে হল। এবং আমরা যখন বসলাম তখন অবাক হয়েই দেখলাম, গোদি মিডিয়ার এক বড় অংশের মধ্যেও এই খবর পৌঁছেছে, সেখানে সাংবাদিক কেবল নয়, মালিকদের গলায় সুর বদল। খবর পৌঁছেছে আমলাদের কাছে, তাদের গলায় অন্য সুর। লোয়ার কোর্টের বিচারক সেদিন আমাদের চ্যানেল সম্পাদক কৌস্তুভ রায় ভার্সেস ইডি মামলায় মন্তব্য করলেন, “ইডি দেশের প্রিমিয়ার ইনভেস্টিগেটিং একটি এজেন্সি। ধরে নেওয়া হয় যে সব দক্ষ অফিসারেরা এখানে রয়েছেন। এ তো দেখছি অদক্ষ সব অফিসারে এজেন্সি ভরে গেছে। তদন্তই হচ্ছে না, শুধুমাত্র পেপার ওয়ার্কে মামলা সাজানো হচ্ছে।” ভাবা যায়?
ভাবা যায়, কেজরিওয়াল অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেলেন নির্বাচনের প্রচারের জন্য, জামিন পেলেন কাশ্মীরের সাংবাদিক আসিফ সুলতান, গৃহবন্দি ছিলেন, জামিন পেলেন গৌতম নওলাখা, ইউএপিএ মামলাটাই খারিজ করে দিল আদালত, জামিনে বাইরে এলেন নিউজ ক্লিক সম্পাদক প্রবীর পুরকায়স্থ। ভাবা যায়, অর্জুন সিং সাংবাদিকদের সামনে চিৎকার করছেন, ওরা আমাকে মারছে বলে, ভাবা যায় আমাদের রাজ্যের বিরোধী দলনেতা রোজ বলছেন বোমা ফাটাব, বোমা ফাটছে, কিন্তু অন্য কোথাও লাগছে। একবার ভেবে বলুন তো সারা দেশে কোথায় সিএএ ভোটের কাজে লাগবে? অসম আর বাংলা। অসমের ভোট শেষ, বাংলার ভোটের মাত্র তিন কি চার আসনে এই মতুয়া ভোটের প্রভাব আছে, তাদের সিএএ নিয়ে চূড়ান্ত হতাশার মাঝেই দেশ জুড়ে প্রত্যেক কাগজের প্রথম পাতায় দেশ জুড়ে মাত্র ১৬ জনকে নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে তার বিজ্ঞাপন ছাপা হল। তিনটে আসনের জন্য এই বিরাট খরচ, কিন্তু সামহাউ এটা তাঁরা করছেন কারণ একটা আসনও খোয়াতে রাজি নন। মানে যা বলতে চাইছি তা হল যেখানে যা যা অস্ত্র ছিল তা অনেক আগেই বের করেছে ইন্ডিয়া জোট, কিন্তু এবার বিজেপির ঝোলা থেকেও সে সব বের হচ্ছে, শেষ অস্ত্রটুকু প্রয়োগ না করে যুদ্ধ শেষ হয় না। আমেরিকার কোন সাহেব নাকি ওপিনিয়ন পোল করে বিজেপিকে ৩০৮টা আসন দিয়েছে, সেটাও দু’ এক দিনের মধ্যে ভাইরাল হবে। ঠিক সেইরকম এক লুকনো অস্ত্র ছিল পিকে। উনি স্ট্রাটেজিস্ট, পরিকল্পনা বা প্ল্যানিংয়ে দক্ষ, নির্বাচনের স্ট্রাটেজিস্ট হিসেবে নাম কিনেছেন, নিজের কোনও রাজনৈতিক কমিটমেন্ট আছে? ক্লায়েন্ট দেখলেই বোঝা যাবে, ওনার কাছে কনট্রাক্ট অ্যামাউন্ট ম্যাটার্স। নরেন্দ্র মোদি থেকে মমতা ব্যানার্জি, নীতীশ কুমার থেকে জগন রেড্ডি সব্বাই তাঁর ক্লায়েন্ট। উনি স্তালিনের হয়ে কাজ করেছেন, বিআরএস-এর হয়ে করেছেন, এবং সেই ২০১৪-তে যখন তিনি চায় পে চর্চা ইত্যাদি করছেন, তখন কোনও ভবিষ্যৎবাণী করেছিলেন নাকি? না, করেননি। তারপর একেকটা রাজ্যে ৫-৬-৭-৮ মাস, কোথাও তার বেশি সময় ধরে থেকেছেন, একটা পরিকল্পনা করেছেন, যার মূল কথা ছিল ভিজিবিলিটি।
অর্থাৎ দলটাকে সারা বছর যেন মানুষ দেখতে পায়, আর কোন এলাকাতে কোন প্রার্থীর গ্রহণযোগ্যতা আছে, সেরকম এক তালিকা সাজেস্ট করার কাজটা পিকে এবং তাঁর আই প্যাক করেছে। কিন্তু এসবের জন্য পিকে-কে সেফোলজিস্ট বলাটা বাড়াবাড়ি রকমের ভুল। বরং এ নিয়ে পিকেরই একটা কথা মনে করিয়ে দিই। উনি বলেছিলেন খুব ক্লোজলি ডে টু ডে ইভেন্টগুলো ফলো না করলে, তার ব্যাকগ্রাউন্ড না জানলে এরকম ভবিষ্যৎবাণী করাটা মূর্খামি। আমরা সাংবাদিক হিসেবে এই কথাটা ফলো করি, মানি। সারা বছর ধরে এক চর্চাই আমাদের একটা মূল ধারণা তৈরি করতে সাহায্য করে, সেটাও সবসময় মেলে না, আমারই তো মেলেনি, আমি, এই বাংলার অন্যতম নির্বাচন বিশেষজ্ঞ এখন আমাদের মধ্যে নেই, দেবাশিস ভট্টাচার্য আর আনন্দবাজারের প্রখ্যাত সাংবাদিক মিলে ২০১৯-এ ভোটের সমীক্ষা যাকে বলে তা করেছিলাম, ডাহা ফেল করেছিলাম। কেন? সে তিন চারদিন পরেই আলোচনা করব, তার থেকে কী শিক্ষা পেয়েছি সেটাও বলব। কিন্তু এখন শুধু এইটা বলা যে সত্যিই নির্বাচন নিয়ে আগাম কিছু বলতে হলে একটা ধারাবাহিক চর্চা দরকার। তো পিকে হঠাৎ যে নির্বাচন নিয়ে বলতে শুরু করলেন, তার আগে তিনি কী করছিলেন? শেষ ওনাকে দেখা গেছে এই বাংলাতে, ২০২১-এ, প্রতিদিন প্রত্যেকটা বিধানসভার থেকে ইনপুট নিয়েছেন, হিসেব হয়েছে, সেই ফার্স্ট হ্যান্ড রিপোর্টের ভিত্তিতে তিনি বলেছিলেন বিজেপি ১০০ পার করবে না। কিন্তু এটাও তো ঠিক যে উনি বহুবার যেমন ওনার হিসেব মিলিয়ে দিয়েছেন, ঠিক তেমনই মেলাতে পারেননি। কাজেই উনি যা বলিবেন তাহাই সত্য এমনটা ভাবার তো কোনও কারণ নেই। উনি তেলঙ্গানাতে বিআরএস-এর বিশাল জয়ের কথা বলেছিলেন, উল্টো হয়েছে, কংগ্রেস বিরাটভাবে ক্ষমতায় এসেছে। কর্নাটকে বিজেপি জিতবে বলেছিলেন, উল্টোটা হয়েছে। হিমাচলপ্রদেশে কংগ্রেস কিছুতেই জিতবে না বলেছিলেন, কংগ্রেস জিতেছে।
আরও পড়ুন: মোদি–শাহ চলে যাবেন, রেখে যাবেন এক বিভক্ত সমাজ, এক বিধ্বস্ত অর্থনীতি
আবার বলছি সেই অর্থে উনি সেফোলজিস্ট নন। কিন্তু হঠাৎ মাঠে হাজির, এবং এতদিন ধরে উনি করছিলেন কী? বিহারে জন সুরাজ যাত্রা। তার আগে, কংগ্রেসের স্ট্র্যাটেজিস্ট শুধু নয়, এক্কেবারে হাই কমান্ড হতে চেয়েছিলেন, কংগ্রেস শুনেছে কিন্তু মানেনি। ওদিকে নীতীশ কুমারের দল থেকে তিনি পদত্যাগ করেছেন। যথেষ্ট, যথেষ্ট রোজগারের পরে তিনি বিহারের রক্ষাকর্তা হওয়ার চেষ্টায় জন সুরাজের কথা বলতে শুরু করলেন, গত দেড় বছর তিনি মূলত বিহারের বাইরেও যাননি, প্রত্যন্ত অঞ্চলে ঘুরেছেন, মানুষের সঙ্গে কথা বলেছেন, কিন্তু যা ভেবেছিলেন তেমন হয়নি, তেমন সাড়াও পাননি। এদিকে বিজেপি ক্ষমতায় থাকলে তবুও তাঁর এক অন্য ন্যারেটিভ সেট করার সম্ভাবনা থাকবে, ওখানে তেজস্বী বা দেশে কংগ্রেসের নেতৃত্বে ইন্ডিয়া এসে হাজির হলে গৈল ভৈঁসিয়া পানি মে, ঘটি হারাবে। কারণ এই বিরোধীদের স্পেসটাই তো তিনি দখল করার জন্য মাঠে নেমেছিলেন, ওনার হিসেব ছিল কংগ্রেস আরও খারাপ করবে, তেজস্বী মুছে যাবে, তিনি মোদি বিরোধী স্পেসে নতুন মসিহা হয়ে উঠে আসবেন। এই ছবিটা শেষ, উল্টো হাওয়া বইতে শুরু করেছে। দুটো আলাদা আলাদা চাহিদা থেকেই প্রশান্ত কিশোর জন সুরাজ ইত্যাদি ছেড়ে আবার মিডিয়ার সামনে। প্রথমটা হল পিকে-র নিজের চাহিদা বিরোধী স্পেস দখল করার, অন্য চাহিদা বিজেপির, খড়কুটো পেলেও আঁকড়ে ধরো। কাজেই দুই চাহিদা এক জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছে। শেষ মুহূর্তে পিকে তাঁর সেফোলজিস্ট ইমেজ ভাঙিয়ে বাংলাতে, বিহারে, ইউপিতে কিছু আসন যদি রক্ষা করতে পারে, তার দায়িত্ব পেয়েছেন এবং দায়িত্ব নির্বাহে নেমেছেন, স্ট্র্যাটেজিস্ট হিসেবে তুখোড় কাজেই উনি বিরোধীদের প্রচার কেন্দ্রগুলোতেই আগে টোকা মারছেন। বরখা দত্তের মোজো, প্রিন্ট, আরও কিছুর সঙ্গে এমনকী করণ থাপার। আর এইখানে এসেই জল খেতে হল তাঁকে এক্কেরে সেই উনিজির মতো স্টাইলে, দৃশ্যত নার্ভাস পিকের এজেন্ডা মানুষ বুঝে ফেলল, উনি কাদের হয়ে ব্যাট ধরেছেন, সেটা বুঝে ফেলল।
আমরা বরং আমাদের আলোচনাকে আরেকটু প্রামাণ্য করে তুলতে এই বাংলা নিয়ে পিকের কথাগুলো নিয়ে নাড়াঘাঁটা করি। উনি বলেছেন এখানে বিজেপি উল্লেখযোগ্য ভালো ফলাফল করবে। কারও সক্কালবেলায় ঘুম থেকে উঠে এটা মনে হতেই পারে, গণতান্ত্রিক দেশে কারও মনে হওয়ার উপরে লাগাম তো দেওয়া যায় না। কিন্তু উনি তো পিকে তাই বেশি কথা না বলে উনি বলেছেন বিজেপি বাড়বে কারণ বিজেপি রাইজিং ফোর্স, বিজেপি বাড়ছে। একটা দল ধীরে ধীরে বা তাড়াতাড়ি তার ভোট পার্সেন্টেজ বাড়াতে থাকলে, মধ্যে তা যদি কমতে না থাকে, তাহলে সেই দলকে পরবর্তী নির্বাচনে খানিক এগিয়ে রাখতে হয়, এটা সেফোলজির থাম্ব রুল। তো তিনি বলেছেন বিজেপি গ্রোয়িং ফোর্স, কাজেই তারা আগের চেয়ে কেবল বেশি আসনই পাবে না, উল্লেখযোগ্যভাবেই বেশি আসন পাবে। মানে ক’টা হলে উল্লেখযোগ্য হবে? এখন ১৮, যদি ২৫টাও হয় তাহলেই সেটা যথেষ্ট উল্লেখযোগ্য। খুব সাধারণ অঙ্কের হিসেবে ২৫টা সাংসদ আসন মানে ১৭৫টা বিধানসভা আসনে এগিয়ে থাকবে। আরে জানি বাবা, সাতটাতে তো সাতটাই জিতবে না কিন্তু বাকি ১৭টা আসনে সাতটাতে তো সাতটাই হারবে না, সেই হিসেব একটা বলপার্ক হল ১৭৫, মানে রাজ্যের সরকার। কম কথা নয়। তো আসুন প্রথমে বিজেপির গ্রোথটা কেমন দেখা যাক। ২০০৯ বিজেপির ভোট কত? ৬.১৪ শতাংশ, আসন একটা। কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বিরাট হাওয়া, মোদিজি আসছেন ২০১৪তে, এ রাজ্যে বিজেপি কত? ১৭ শতাংশ, আসন দুটো। এবারে ২০১৯, বিজেপি ৪০.৭ শতাংশ ভোট আসন ১৮টা। কংগ্রেস আর বামেদের মিলে ভোট কমেছিল প্রায় ২১ শতাংশ, বিজেপির ভোট বেড়েছিল ২২ শতাংশ। এই লোকসভার হিসেবে বিজেপি এগিয়ে ছিল ১৩০টার মতো আসনে, গেল গেল রব শুরু হয়েছিল, সেই সময় বাংলাতে পিকের প্রবেশ। রেজাল্ট কী হল?
বিজেপির ভোট কমল প্রায় আড়াই পার্সেন্টেজ পয়েন্ট আর আসন পেল ৭৭টা। কোন হিসেবে বিজেপি গ্রোয়িং পার্টি হল? এবার আসুন আরেকটা নতুন হিসেব দেখাই। ১৯৮৪, ইন্দিরা গান্ধী মারা গেছেন, সহানুভূতির হাওয়া এরকম হতে পারে সিপিএম-এর ধারণাতেও ছিল না। সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় হারলেন যাদবপুরে, হাওড়াতে সমর মুখার্জি, দমদমে নীরেন ঘোষ হারলেন, জিতেছিলেন আশুতোষ লাহা। সকালবেলায় কাউন্টিং সেন্টারে এসে ফিরে গেছিলেন বাড়িতে, আদ্যাপীঠের পাশেই থাকতেন, মাঝরাতে কংগ্রেসের ছেলেরা চিৎকার করছে, আশুদা ওঠো, আশুদা জিতে গেছ, উনি মাতালদের হই হল্লা ভেবে দরজা খোলেননি, তারপর সেই মাঝরাতে জয়ের সার্টিফিকেট নিতে গিয়েছিলেন। তো সেই ১৯৮৪-তে কংগ্রেসের ভোট কত ছিল? ১২ শতাংশ ভোট বাড়িয়ে ৪৮ শতাংশ ভোট পেয়েছিল কংগ্রেস, আসন ৪ ছিল ১৯৮০তে, ৮৪তে হল ১৬। পরের নির্বাচন ১৯৮৯-এ, সেবারে এই গ্রোয়িং ফোর্সের কী হয়েছিল? আবার ৭ শতাংশের বেশি ভোট খুইয়ে পুনর্মূষিক ভব, ৪টে আসন পেয়েছিল। বাংলাতে এটাই হয়েছে, হুউউস করে বাড়লে হুউউস করেই কমেছে, এখানে ভোট করাতে সংগঠন লাগে। বর্ধমান দুর্গাপুরে দিলীপ ঘোষ লড়ছিলেন, এবারে সেই আসনের সদর বর্ধমানে ২০০ বুথে, হ্যাঁ, ২৯৬-এর মতো বুথের মধ্যে ২০০ বুথে বিজেপির পোলিং এজেন্ট ছিল না। জোয়ারের জলে নোংরা ভেসে আসে, ভাটাতে তা নেমে যায়, এটা বাংলার রাজনীতি। পিকে অন্য কোনও কারণ দিতেই পারতেন বা অন্য কিছু বলতে পারতেন কিন্তু এই গ্রোয়িং ফোর্সের তত্ত্ব যে আসলে ভোকাল টনিক, তা বোঝার ক্ষমতা আমাদের আছে। অতএব পিকে দুবেকে নিয়ে আমরা এই নির্বাচনের বাজারে আলোচনা করতেই পারি, পিকে আমির খানকে নিয়েও, প্রশান্ত কিশোর ডামি যোদ্ধা, ওনার হিসেবকে গুরুত্ব দেওয়ার কোনও কারণ নেই, উনি ডামি ক্যান্ডিডেট, পিছনে অন্য কেউ সুতো ধরে আছে।