ওয়েব ডেস্ক: ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) বিজাপুর জেলায় মাওবাদীদের (Maoists) পাতা আইইডি বিস্ফোরণে (IED Blast) কেন্দ্রীয় আধাসেনা ও রাজ্য পুলিশের যৌথবাহিনীর অভিযানে (Joint Operation) নতুন করে রক্তক্ষয়। এই ঘটনায় বস্তার ডিভিশনে সিআরপিএফের এলিট ইউনিট ‘কোবরা’ বাহিনীর (Cobra Force) দুই কমান্ডো গুরুতর জখম হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার গভীর রাতে বিজাপুর জেলার বাসাগুড়া থানার অন্তর্গত গভীর জঙ্গলে সিআরপিএফের কোবরা বাহিনীর ২০৬ ব্যাটালিয়নের কমান্ডোরা রাজ্য সশস্ত্র পুলিশবাহিনীর সঙ্গে মাওবাদী বিরোধী অভিযানে নামেন। অভিযানের মাঝেই অসাবধানতাবশত একটি আইইডি বিস্ফোরণ ঘটে। এতে দুই কোবরা কমান্ডো আহত হয়েছেন বলে খবর।
পুলিশের দাবি, মাওবাদীদের সশস্ত্র শাখা পিপল্স লিবারেশন গেরিলা আর্মি-র তৈরি করা এই বিস্ফোরক থেকেই এই ঘটনা ঘটেছে। এর আগে গত ৬ জানুয়ারি একই জেলায় মাওবাদীদের আরেকটি আইইডি হামলায় নিরাপত্তা বাহিনীর আট সদস্য এবং একজন চালক নিহত হন। ওই ঘটনার আগেও কেন্দ্রীয় ও রাজ্য যৌথবাহিনী বস্তার ডিভিশন (Bastar Division) জুড়ে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন মাইন-সন্ধানী যন্ত্র নিয়ে অভিযান শুরু করেছিল। কিন্তু তার মধ্যেই ফের এই বিস্ফোরণের ঘটে।
আরও পড়ুন: দুর্বল হচ্ছে মাওবাদীরা? ছত্তিশগড়ে আত্মসমর্পণ করলেন আরও ৪
উল্লেখ্য, গত ৩ জানুয়ারি থেকে মাওবাদীদের বিরুদ্ধে নতুন করে অভিযানে নেমেছে যৌথবাহিনী। বিজাপুর, সুকমা, নারায়ণপুর, দন্তেওয়াড়া, জগদলপুর, কাঁকের এবং কোন্ডাগাঁও জেলার পাহাড়-জঙ্গলে চলছে এই অভিযান। ইতিমধ্যে সংঘর্ষে বেশ কয়েক জন মাওবাদী প্রাণ হারিয়েছেন। আত্মসমর্পণ করেছেন গান্ধী তাঁতি ওরফে কমলেশ, মাইনু ওরফে হেমলাল কোররাম, রঞ্জিত লেকামি ওরফে অর্জুন এবং তাঁর স্ত্রী কোসি ওরফে কাজলের মতো নেতারা। মাওবাদী বিরোধী অভিযান জোরদার হলেও বারবার এই ধরনের হামলা প্রমাণ করছে যে, এলাকায় এখনও মাওবাদীদের শক্ত ঘাঁটি রয়েছে।
দেখুন আরও খবর: