পশ্চিম মেদিনীপুর: পঞ্চায়েতের গেটে পোস্টার সাঁটিয়ে, তালা লাগিয়ে বিক্ষোভ (Agitation) গ্রামের বাসিন্দাদের।পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পুলিশ, বিডিও,পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি। গ্রাম পঞ্চায়েতের তালা খুলতে প্রশাসনের আধিকারিকরা এলে তাঁদের ঘিরেও তুমুল বিক্ষোভ হয়। গ্রামবাসীদের চাপে পড়ে গাড়ি থেকে নেমে হেঁটে বেহাল এলাকা পরিদর্শন করলেন প্রশাসনের আধিকারিকেরা। গ্রামের একাধিক রাস্তা বেহাল, গ্রাম পঞ্চায়েতে জানিয়েও কোনো সুরাহা না হওয়ায় ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীদের বিক্ষোভ বলে দাবি তাঁদের। যদিও পরে বিক্ষোভকারীদের একটি প্রতিনিধি দলকে নিয়ে গ্রাম পঞ্চায়েতের তালা খুলিয়ে আলোচনায় বসেছেন প্রশাসনের আধিকারিকরা।
প্রায় ১০ বছর ধরে গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার একাধিক গ্রামীণ রাস্তা বেহাল, নিকাশি ব্যাবস্থা খারাপ। একাধিকবার গ্রাম পঞ্চায়েতকে জানিয়েও কাজের কাজ কিছু হয়নি। ক্ষোভে গ্রাম পঞ্চায়েতে তালা দিয়ে বিক্ষোভে সামিল হলেন ৫ টি গ্রামের শতাধিক বাসিন্দা। এমনই ঘটনা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা ২ নম্বর ব্লকের বান্দিপুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে। ধান্যগাছীতে দফতরের গেটে তালা লাগিয়ে , পোস্টারিং দিয়ে চলে তুমুল বিক্ষোভ। চন্দ্রকোনা থানার পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করলেও নিজেদের দাবিতে অটল থাকেন বিক্ষোভকারীরা। পরে ঘটনাস্থলে হাজির হন চন্দ্রকোনা-২ ব্লকের বিডিও উৎপল পাইক, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অলোক ঘোষ সহ চন্দ্রকোনা থানার ওসি। বিডিও সহ পুলিশ প্রশাসনের আধিকারিকরা বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলে তালা খোলার কথা বললেও তা মানতে চায়নি বিক্ষোভকারীরা। বিডিও,সভাপতি ও ওসি সহ আধিকারিকদের বেহাল রাস্তা ঘুরে দেখতে হবে এমন দাবিতে অনড় থাকেন বিক্ষোভকারীরা।
আরও পড়ুন: উপাচার্য নিয়োগে সার্চ কমিটি গড়ল সুপ্রিম কোর্ট
বিক্ষোভকারীদের দাবি মেনে প্রশাসনের আধিকারিকরা গ্রামবাসীদের সঙ্গে বেহাল রাস্তা হেঁটে পরিদর্শন করেন। পরে প্রশাসনের আধিকারিকরা বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলে শেষমেশ পঞ্চায়েত দফরের তালা খুলিয়ে বিক্ষোভকারীদের একটি প্রতিনিধি দলকে নিয়ে বৈঠকে বসেন। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে প্রশাসনের আধিকারিকদের দীর্ঘ আলোচনার পর বিক্ষোভকারীরা বিক্ষোভ তুলে নেয়। এ বিষয়ে চন্দ্রকোনা দু’নম্বর ব্লকের বিডিও উৎপল পাইক বলেন, দ্রুত রাস্তা মেরামতের কাজ শুরু হবে। এলাকাবাসীদের সমস্যার বিষয়গুলি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখা হবে।
আরও খবর দেখুন
