কলকাতা: ২২ বছর আগে পাকিস্তানে (Pakistan) আটকে পড়েছিলেন এক ভারতীয় মহিলা। শত চেষ্টা করেও বাড়ি ফেরা তো দূর, বাড়ির কারও সাথে যোগাযোগটুকুও করতে পারেননি তিনি। কিন্তু শেষমেশ একটি ইউটিউব (Youtube) ভিডিওর দৌলতে বাড়ি ফিরে এলেন ওই মহিলা। সিনেমার গল্প মনে হলেও বাস্তবে এমনটাই হয়েছে এক মহিলার সঙ্গে। হামিদা বানু (Hamida Banu) নামের ওই মহিলা গত সোমবার ফিরেছেন নিজের বাড়িতে। মেয়ে, নাতি, নাতনিদের কাছে পাওয়া যেন তাঁর কাছে পুনর্জন্মের থেকে কম কিছু নয়। কিন্তু কীভাবে তিনি পাকিস্তানে আটকে পড়েছিলেন? হামিদা নিজেই সেই ঘটনা সম্পর্কে জানিয়েছেন।
বাড়ি ফেরার পর হামিদা বানু জানিয়েছেন, ২০০২ সালে ভালো চাকরি পাওয়ার লোভে তিনি এক এজেন্টের ফাঁদে পা দেন। নগদ ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে ওই এজেন্ট তাঁকে দুবাইয়ে (Dubai) চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। দাবি মতো টাকা দিয়ে এজেন্টের সঙ্গে দেশ ছাড়েন হামিদা। কিন্তু দুবাই নয়, তাঁকে পৌঁছে দেওয়া হয় পাকিস্তানের হায়দরাবাদ শহরে। সেখানে ডিটেনশন হাউসে চরম কষ্টের মধ্যে তাঁকে ৩ মাস কাটাতে হয়। পরে আর কোনওভাবে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি তিনি। কয়েকবছর পর এক ফেরিওয়ালাকে বিয়ে করেন হামিদা। কিন্তু কোভিডে তাঁর স্বামীর মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: হুড়মুড়িয়ে সম্পত্তি কমছে আম্বানি, আদানির! সামনে এল বড় তথ্য
২০২২ সালে ওয়ালিউল্লাহ মাহরুফ নামের এক পাকিস্তানি ইউটিউবার হামিদার একটি সাক্ষাৎকার নেন এবং সেটিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করেন। এই ভিডিওটি ভারতীয় সাংবাদিক খালফান শেখের নজরে আসে। তারপর দু’জনের যৌথ চেষ্টায় হামিদা তাঁর মেয়ের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করতে সক্ষম হন। বার্তা পৌঁছয় দুই দেশের অ্যাম্বেসিতে। সব কাগজপত্র তৈরি হলে বাড়ি ফেরার ছাড়পত্র পান হামিদা। দীর্ঘ ২২ বছর পর সোমবার হয় তাঁর ঘর-ওয়াপসি। বাস্তব হলেও হামিদা বানুর গল্প হার মানাবে যেকোনও সিনেমার চিত্রনাট্যকেও।
দেখুন আরও খবর: