করোনার জন্য পর পর দুটো ম্যাচ বাতিল হয়ে গিয়েছিল তাদের। বৃহস্পতিবার আবার সেই এটিকে মোহনবাগান নামছে মাঠে। এবার তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী কেরালা ব্লাস্টার্স যারা এই মুহুর্তে আই এস এল-এর পয়েন্ট টেবলের একেবারে শীর্ষে আছে। এগারো ম্যচ খেলে তাদের পয়েন্ট ২০। আর পয়েন্ট টেবলে ছয় নম্বরে আছে মোহনবাগান। তাদের নয় ম্যাচ খেলে পয়েন্ট ১৫। প্রথম লিগে মোহনবাগান ৪-২ গোলে হারিয়ে দিয়েছিল কেরালাকে। তবে তার পর থেকে অনেক কিছু বদলে গেছে। কেরালা গত দশ ম্যাচে অপরাজিত। তাদের কোচ ইভান ভুকোমানভিকের হাতে বেশ কয়েকজন অ্যাটাকিং ফুটবলার আছে যারা যে কোনও মুহূর্তে ম্যাচের রঙ বদলে দিতে পারে।
যে রকম আদ্রিয়েন লুনা। এখন পযর্ন্ত ছটি গোলের ক্ষেত্রে অ্যাসিস্ট আছে লুনার। এর সঙ্গে যোগ করতে হবে কেরালার গোলকিপার প্রাভসুখন গিলের নাম। খুবই ভাল ফর্মে আছেন গিল। কেরালা যে টানা দশ ম্যাচে অপরাজিত তার পিছনে গিলের বিরাট অবদান আছে। গিল খেলেছেন আটটি ম্যাচে। এর মধ্যে চারটি ম্যাচে তিনি গোল খাননি। এদের সঙ্গে ভারতীয় ফুটবলাররাও ভাল খেলে কেরালাকে ম্যাচ জেতাবার ব্যাপারে বড় ভূমিকা নিয়েছেন। এদের মধ্যে আছেন দুই ডিফেন্ডার হরমোহনজ্যোৎ খাবড়া এবং নিশু কুমার, মিডফিল্ডার জিকসন সিং এবং সাহাল সামাদ-রা। সব মিলিয়ে কেরালা বেশ বড় শক্তির দল।
মোহনবাগানের নতুন কোচ জুয়ান ফেরান্দো দলটাকে সাজাবার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু করোনার ছোবলে তাঁর সেই চেষ্টা থমকে গেছে। বৃহস্পতিবার ভাস্কোর তিলক ময়দানে অবশ্য তিনি পাবেন তাঁর করোনামুক্ত প্লেয়ারদের। রয় কৃষ্ণ, শুভাশিস বসুর সঙ্গে করোনা মুক্ত সন্দেশ ঝিঙ্গনও। তবে সন্দেশকে প্রথম থেকে খেলাবেন কি না তা নিয়ে একটু সন্দেহ আছে। আবার হুগো বুমোকে এই ম্যাচে পাবে না মোহনবাগান। চারটে হলুদ কার্ড দেখে তিনি মাঠের বাইরে। বুমো পাঁচটি গোল করেছেন। করিয়েছেন বেশ কয়েকটি। তাঁকে মিস করবে মোহনবাগান। তবে লিস্টন কোলাসো, ডেভিড উইলিয়ামস, মনবীর সিংদের সঙ্গে রয় কৃষ্ণ থাকায় গোল করার লোকের অভাব নেই মোহনবাগানে। চিন্তা তো ডিফেন্স নিয়ে। তিরির ফিটনেস নিয়ে সন্দেহ আছে। তবে কার্ল ম্যাকহিউ এখন আবার ম্যাচ খেলার জায়গায় চলে গেছেন। আবার অনেক দিন পর ম্যাচ খেলতে নামছে মোহনবাগান সমস্যা আছে তা নিয়েও। সব মিলিয়ে লিগের এক নম্বর দলের বিরুদ্ধে মোহনবাগান কতটা লড়ে নজর এখন সে দিকে।