আমেদাবাদ: তাসের খেলা ব্রিজে একটা শব্দবন্ধ প্রায়ই ব্যবহৃত হয়, তা হল ‘খেলা মরে গেছে’। বর্ডার-গাভাসকর ট্রফির (Border-Gavaskar Trophy) চতুর্থ টেস্টের অবস্থাও একই, খেলা মরে গিয়েছে। মানে ফলাফলের কোনও সম্ভাবনা নেই। চারদিনের খেলা শেষ, সবে শুরু হয়েছে তৃতীয় ইনিংস। এই মুহূর্তে ভারত (India) অস্ট্রেলিয়ার (Australia) থেকে ৮৮ রানে এগিয়ে। আগেও বলেছি, কাল সকাল থেকে যদি টি২০ (T20) ক্রিকেট শুরু হয় তাহলে হয়তো জিততে পারে কোনও দল। এছাড়া কোনও সম্ভাবনা নেই।
অস্ট্রেলিয়ার ৪৮০ রানের জবাবে ভারত ৫৭১ রান করেছে। দিনের শেষে ৬ ওভার ব্যাট করে বিনা উইকেটে অস্ট্রেলিয়ার রান তিন। এখান থেকে জেতার যেটুকু সম্ভাবনা তা ভারতেরই। পঞ্চম দিনের পিচে অস্ট্রেলিয়াকে যদি এক-দেড়শোর মধ্যে আউট করা যায় তবে একটা সুযোগ আছে। অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়া যদি কাল সকালে হঠাৎ চার-ছয় মারা শুরু করে এবং ২০০ রানের লিড নিয়ে চা-বিরতির সময় ডিক্লেয়ার (Declare) দেয় তাহলে আর এক মজা হবে। কিন্তু এ সবই কষ্টকল্পনা। এসব কিছুই হবে না।
আরও পড়ুন: ISL-2023: ঘরের মাঠে জিতে ফাইনালে যেতে মরিয়া এটিকে মোহনবাগান
অস্ট্রেলিয়া যে উইকেট বাঁচিয়েই খেলবে তা ওপেনিংয়ে ট্রাভিস হেডের (Travis Head) সঙ্গে নৈশপ্রহরী হিসেবে ম্যাথিউ কুনেম্যানকে (Matthew Kuhnemann) পাঠানোতেই বোঝা গিয়েছে। আর একটা কারণ ফিল্ডিং করতে গিয়ে উসমান খোয়াজা (Usman Khawaja) পায়ে চোট পেয়েছিলেন। খোঁড়াতে খোঁড়াতে মাঠ ছাড়েন তিনি। কাল হয়তো ব্যাট করতে পারবেন তিনি। শ্রেয়স আইয়ারের (Shreyas Iyer) মতো অবস্থা হবে না। শ্রেয়স কুঁচকির চোটের জন্য নামতেই পারলেন না, ভারত ব্যাট করল ১০ জনে।
অবশ্য একাই অনেকের অভাব মিটিয়ে দিয়েছেন বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। ২০১৯ সালের পর প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি এল আজ। সেঞ্চুরিকে ডাবল সেঞ্চুরি করে ফেলেছিলেন প্রায়। ১৮৬ রানের মাথায় টড মারফির (Todd Murphy) বল সুইপ করতে গিয়ে ডিপ মিড উইকেটে ধরা পড়লেন তিনি। আবারও ব্যাট হাতে অনবদ্য অক্ষর প্যাটেল (Axar Patel)। ভারতের মাটিতে ভারতীয় দলে তিনি অটোম্যাটিক চয়েস হয়ে উঠেছেন। এদিনও ৭৯ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে তিনটে করে উইকেট নিলেন দুই অফস্পিনার নাথান লিয়ঁ (Nathan Lyon) এবং টড মারফি। একটি করে পেলেন মিচেল স্টার্ক (Mitchell Stark) এবং ম্যাথিউ কুনেম্যান।