ওয়েব ডেস্ক: জোসে মোরিনহো থেকে আর্সেন ওয়েঙ্গার, স্যর অ্যালেক্স ফার্গুসন থেকে পেপ গুয়ার্দিওলা, দুনিয়ার তাবড় ফুটবল কোচ একবাক্যে স্বীকার করেছেন, অ্যানফিল্ডে (Anfield) লিভারপুলের (Liverpool FC) বিরুদ্ধে খেলার মতো শক্ত আর কিচ্ছু নয়। রবিবার সেই অ্যানফিল্ডেই আর্নে স্লটের (Arne Slot) লিভারপুলের মুখোমুখি হয়েছিল ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড (Manchester United)।
প্রিমিয়ার লিগে ১৪ নম্বরে ধুঁকছে রুবেন অ্যামোরিমের (Ruben Amorim) ইউনাইটেড। অন্যদিকে অপ্রতিরোধ্য লিভারপুল। মহম্মদ সালাহরা (Mohammad Salah) প্রতিপক্ষকে কত বড় ব্যবধানে পর্যুদস্ত করে সেটা দেখার আশাতেই বসেছিল সবাই। কিন্তু চমকে দিল ম্যান ইউ। ২-২ ড্র করে অ্যানফিল্ড থেকে এক পয়েন্ট ছিনিয়ে নিল তারা। ম্যাচের শেষ মুহূর্তে হ্যারি ম্যাগুয়ার সহজ সুযোগ নষ্ট না করলে পুরো তিন পয়েন্টই আসত। তবে ড্র এই ম্যাচের ‘সঠিক’ ফলাফল।
আরও পড়ুন: ভারতীয় দলে ‘স্টার কালচার’ বন্ধ হোক! বিস্ফোরক দাবি সানির
প্রথমার্ধ গোলশূন্য ছিল। দুই দলই সুযোগ তৈরি করে এবং দুই দলের গোলকিপারই রক্ষাকর্তার ভূমিকা পালন করেন। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ৫২ মিনিটে ব্রুনো ফার্নান্ডেজের পাস থেকে ম্যান ইউকে এগিয়ে দেন লিসান্দ্রো মার্তিনেজ। দ্রুত প্রত্যাঘাত করে লিভারপুল। একক দক্ষতায় সমতা ফেরান কোডি গাকপো। এরপর ৭০ মিনিটে পেনাল্টি থেকে ২-১ করে দেন সালাহ। নাটক আরও বাকি ছিল। ৮০ মিনিটে ম্যান ইউয়ের হয়ে সমতা ফেরান আমাদ দিয়ালো।
এরপর আক্রমণ-প্রতি আক্রমণে চলতে থাকে, যদিও গোল আসেনি। শেষ বাঁশি বাজার ঠিক আগে অত্যন্ত সহজ সুযোগ পেয়ে যান ম্যাগুয়ার। কিন্তু বারের উপর দিয়ে বল মেরে বুঝিয়ে দেন যে তিনি ফরোয়ার্ড নন। এ ম্যাচের পরেও শীর্ষস্থানেই রইল লিভারপুল। ১৪ নম্বর থেকে ১৩ নম্বরে উঠল ম্যান ইউ। তবে এদিন অ্যামোরিমের দল যেরকম লড়াই করেছে তাতে সমর্থকরা আশান্বিত হতেই পারেন।
দেখুন অন্য খবর: