কলকাতা: ভারতকে (India) ৬৮টি টেস্ট ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়ে ৪০টি জিতেছিলেন এবং ১১টি ড্র করেছিলেন বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। ৪০টির বেশি টেস্ট নেতৃত্ব দেওয়ার বিশ্বের ২৮ জন অধিনায়কের মধ্যে সাফল্যের বিচারে তিনি তৃতীয়। ম্যাচ জয়ের সংখ্যায় ভারতীয় অধিনায়কদের মধ্যে চার নম্বরে আছেন বিরাট। সদ্য বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে (WTC Final 2023) ভারতের হারের পর এই সমস্ত পরিসংখ্যান তুলে ধরছেন তাঁর ভক্তেরা। তাঁকে ফের টেস্ট দলের অধিনায়ক করার দাবি উঠছে দেশ জুড়ে। এই আবহেই সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Sourav Ganguly) বলে দিলেন, বিরাট টেস্ট দলের অধিনায়কত্ব ছাড়ায় অবাক হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। তিনি এও জানিয়েছেন, এই সিদ্ধান্তের জন্য বিসিসিআই (BCCI) আদৌ প্রস্তুত ছিল না।
২০২২ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের পর নেতৃত্ব ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন বিরাট। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রাক্তন বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট বলেন, বিরাটের সিদ্ধান্তে চাপে পড়ে যায় বিসিসিআই। একমাত্র বিরাটই তাঁর এই সিদ্ধান্তের কারণ বলতে পারবেন। নির্বাচকদের তখন নতুন অধিনায়ক বেছে নিতে হত, আর সেই সময় রোহিত শর্মাকেই (Rohit Sharma) সেরা বিকল্প বলে মনে হয়েছিল। ও পাঁচটা আইপিএল ট্রফি জিতেছে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ভালো পারফর্ম করেছে, ও এশিয়া কাপ (Asia Cup) জিতেছে। রোহিতই সেরা অপশন ছিল। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালও খেলেছিল ভারত, যদিও আমরা হেরে যাই।
আরও পড়ুন: IND V WI | ঘোষিত হল ভারত-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরসূচী, দু’টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ হবে মার্কিন মুলুকে
সৌরভ আরও বলেন, আমার রোহিতের উপর পূর্ণ আস্থা রয়েছে। ও আর এম এস ধোনি (MS Dhoni) পাঁচবার করে আইপিএল জিতেছে। আইপিএল জেতা সহজ নয়, কারণ এটা কঠিন টুর্নামেন্ট। বিশ্বকাপ জেতার থেকেও কঠিন আইপিএল জেতা কারণ, এখানে ১৪টা ম্যাচ খেলে তারপর প্লে অফে (Play Offs) পৌঁছতে হয়। বিশ্বকাপে মাত্র চার-পাঁচটা ম্যাচ খেললেই সেমিফাইনালে যাওয়া যায়। আইপিএলে চ্যাম্পিয়ন হতে গেলে ১৭টা ম্যাচ খেলতে হয়।
দীর্ঘ দুই বছরের পরিশ্রম এক অর্থে জলে গিয়েছে। ২০২১ সালের মতোই টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে গিয়ে হারতে হয়েছে ভারতকে। ২০১৩ সালে মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বে শেষবার আইসিসি (ICC) আয়োজিত ট্রফি জিতেছিল টিম ইন্ডিয়া (Team India)। তারপরে এক দশকের খরা। এ বছরের শেষের দিকে ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ যা আয়োজিত হবে ভারতে। কোনও সন্দেহ নেই, ট্রফি তোলার ব্যাপারে রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিরাই ফেভারিট। অন্তত সেমিফাইনালে না পৌঁছতে পারলে তাকে বিপর্যয় হিসেবেই দেখা হবে। তারপর রাহুল দ্রাবিড় এবং রোহিত শর্মার পদ থাকবে বলে মনে হয় না।