আসানসোল: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘বাংলার মাটি, বাংলার জল, বাংলার বায়ু, বাংলার ফল’। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এই গানটিকে রাজ্য সংগীত হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরেই দেখা গেল বারাবনি বিধানসভার আছড়া রায় বলরাম গার্লস উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রীরা ও শিক্ষিকারা সমবেত কন্ঠে গাইলেন রাজ্য সংগীত।
সালটা ১৯০৫, বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলনের সময় বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচনা করেছিলেন ‘বাংলার মাটি, বাংলার জল, বাংলার বায়ু, বাংলার ফল’। বাঙালির আত্ময্য এই গানকেই সব সরকারি ও সরকার অনুমোদিত স্কুলে প্রার্থনা সঙ্গীত হিসেবে গাইতে হবে বলে নির্দেশিকা জারি করেছে পর্ষদ। ইতিমধ্যেই রাজ্যের একাধিক সরকারি ও সরকার অনুমোদিত স্কুলে সকালের প্রার্থনা সংগীত হিসেবে গাওয়া হচ্ছে এই গান। আবার কোথাও এই গান গাওয়ার জন্য প্রস্তুতিও চলছে। তবে, বারাবনি বিধানসভার আছড়া রায় বলরাম গার্লস হাই স্কুলে কলকাতা টিভির ক্যামেরায় যে ছবি উঠে এল, তাতে দেখা গিয়েছে, বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা থেকে শুরু করে পড়ুয়ারা সকলেই মহা আনন্দে সমবেত কন্ঠে গাইছেন রবীন্দ্রনাথের ‘বাংলার মাটি, বাংলার জল’ গানটি।
আরও পড়ুন: মালবাজারে বাড়ির উঠোন থেকে BLO-র ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকারা প্রথমেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এমন উদ্যোগ নেওয়ার জন্য সাধুবাদ জানিয়ে শিক্ষক শিক্ষিকারা বলেন আমাদের বাংলার একটা নিজস্বতা রয়েছে তা আমরা বিদ্যালয়ে প্রার্থনা সংগীত হিসেবে এই গানের মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলতে পারছি। ছাত্রীরাও ব্যাপকভাবে সাড়া দিয়েছে এই উদ্যোগে। দু-একদিনের প্রস্তুতি পর্বের পরেই ছাত্রীরা সকলেই কিন্তু এই গান সমবেত কন্ঠে গাইতে পারছেন। অন্যদিকে, পড়ুয়ারা জানায়, বিশ্বকবির লেখা এই গান প্রার্থনা সংগীতে গাইতে খুবই ভালো লাগছে,কোনরকম কোন সমস্যা হয়নি তাদের।
দেখুন খবর:







