হাওড়া: হাওড়ায় একই পরিবারে চারজন খুনের ঘটনায় এবার গ্রেফতার করা হল মহিলার স্বামী দেবরাজ ঘোষকে। শুক্রবার কাটোয়া থেকে তাকে গ্রেফতার করে হাওড়া থানার পুলিশ। সম্পত্তি নিয়ে গণ্ডগোলের জেরে স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে মা, দাদা, বৌদি ও ভাইজিকে খুন করে স্বামী-স্ত্রী দেবরাজ ঘোষ ও পল্লবী ঘোষ। পল্লবী আগে গ্রেফতার হলেও দেবরাজ পালিয়ে যায়।
গত বুধবার বুধবার রাতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ভাসুর, জা, শাশুড়ি এবং ভাসুরঝি-র উপর এলোপাথাড়ি কোপ দিয়ে খুন পল্লবী। বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাস্থলে যায় ফরেনসিক দল। উদ্ধার হয় খুনে ব্যবহৃত কাঁচি, হাঁসুয়া ও চপার। তবে পল্লবীর শ্বশুর শিশির ঘোষের দাবি, পুত্রবধূ নিজের ছেলেকেও মারার তালে ছিল। ছেলেকে বাঁচাতেই ঘরে তালা দিয়ে পালিয়ে যান পল্লবীর স্বামী দেবরাজ।
পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ বাড়ির ছোট ছেলে দেবরাজ ও তাঁর স্ত্রী পল্লবী সন্তানকে তালাবন্ধ করে কাটারি নিয়ে দাদা দেবাশিসের ঘরে ঢোকেন। কথা-কাটাকাটি শুরু হয় তাঁদের। আচমকা দেবাশিস, তাঁর স্ত্রী এবং ১৩ বছরের মেয়েকে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে পল্লবী। দেবরাজের মা মাধুরীদেবী বড় ছেলেকে বাঁচাতে এলে তাঁকেও কোপায় পল্লবী।
আরও পড়ুন: Raghav Chadha: মণীশের বাড়িতে পেনসিল আর জ্যামিতি বক্স ছাড়া মিলবে না কিছুই, দাবি আপ নেতা রাঘবের
এরপরেই হাওড়া থানার পুলিস পল্লবীকে আটক করে। তার শরীরেও রয়েছে একাধিক আঘাতের চিহ্ন। ঘটনার পরই এলাকা থেকে চম্পট দেয় দেবরাজ। পুলিশ ঘরের তালা ভেঙে দেবরাজের ৭ বছরের ছেলেকে উদ্ধার করে।