বীরভূম: বাংলা ভাগ মানুষ অন্তর থেকে মেনে নেয়নি৷ কিন্তু রাষ্ট্রশক্তির কাছে পরাজিত হয়ে বাস্তব মেনে নিতে হয়েছে। তবে দুই বাংলার মানুষ একই ভাষায় স্বপ্ন দেখেন আজও। এ সত্যতাকে গুরুত্ব দিয়ে ‘দুই বাংলার শিল্প সংস্কৃতি ও কাঁটাতারের প্রভাব’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করে “প্রাচী-প্রতীচী আর্ট গ্যালারি”।
শান্তিনিকেতনের পঞ্চবন আর্ট রিসর্টের খাপছাড়া মঞ্চে এই আলোচনা সভায় অংশ নেন দুই বাংলার অধ্যাপক, সাংবাদিক, সমাজকর্মী, শিক্ষাবিদেরা৷ ইন্দো-বাংলা শিল্প সন্ধ্যার এই আলোচনায় ভাষণ দেন বাংলাদেশের ড: ফরিদা জামান, ড: দুলাল চন্দ্র গাইন, ড: সুশান্ত কুমার অধিকারী, এপার বাংলার, সাংবাদিক দেবদীপ পুরোহিত, নাট্যকর্মী জুলফিকার জিন্না, সমাজকর্মী আহসান কামাল প্রমুখ৷ অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন সাংবাদিক রজত রায়চৌধুরী। বক্তাদের ভাষণের নির্যাস ছিল, কোনও কাঁটাতার কখনওই শিল্প-সংস্কৃতির মেলবন্ধনের বাধা হতে পারে না৷ তবে বাস্তবতা মেনে নিয়েই দুই বাংলার মানুষ তাদের শিল্প-কৃষ্টির আদান-প্রদান করে চলেছেন বছরের পর বছর ধরে৷ এই আলোচনা সভা ছাড়াও অনুষ্ঠানে পরিবেশিত হয় বাংলার প্রাচীন লোকসংস্কৃতি ভাদু নাচ ও মুখোশনৃত্য৷ স্থানীয় শিল্পীরাই অংশ নেন এই অনুষ্ঠানে।
আরও পড়ুন: Paschim Medinipur | Kurmi | কুড়মি বাড়ির দেওয়ালে রাজনৈতিক প্রচার বন্ধ
অনুষ্ঠানের আয়োজক তথা শিল্পী তাপস মল্লিক বলেন, “দুই বাংলার মানুষের জনজীবন, লোকাচার, সংস্কৃতির উপর কাঁটাতারের প্রভাব কতটা পড়বে এই নিয়েই ছিল মূল আলোচনা। একটা দেশ তৈরি হতে লাগে জাতি, একটা জাতি তৈরি হয় ভাষার ভিত্তিতে।কিন্তু দুই বাংলা আলাদা হলেও জাতি কিন্তু একটাই৷ তাই সংস্কৃতির আদান-প্রদানের মধ্য দিয়ে যাতে বাঙালি জাতি আবার শ্রেষ্ঠত্বের শিখরে যায় তার জন্য লড়াইটা চালিয়ে যেতে হবে।”