ওয়েবডেস্ক: চাকরিহারা যোগ্যদের পাশে দাঁড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যোগ্যদের চাকরি যেতে দেবেন না। তিনি আশ্বাস দিলেন, আইনি পথেই ব্যবস্থা হবে। রিভিউ পিটিশন করা হবে। রাজ্য সরকার যোগ্য শিক্ষকদের সমর্থনে আইনি লড়াই লড়বে। আইনজীবী কপিল সিব্বাল, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়রা থাকবেন। প্রশান্ত ভূষণকেও বলতে বলা হয়েছে। লিগাল ফার্ম থাকবে। আইনি ব্যাখ্যা চাওয়া হবে। চাকরিহারাদের কাজ চালিয়ে যেতে পরামর্শ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সুপ্রিম কোর্টে রায়ে চাকরি হারিয়েছেন প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক শিক্ষাকর্মী। সোমবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দিলেন। মুখ্যমন্ত্রী বিকল্প ব্যস্থার কথাও জানান। এদিনি তিনি বলেন, মানবিকতার খাতিরে সুপ্রিম কোর্ট আমাদের যোগ্য অযোগ্যের তালিকা তুলে দিক। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, আমরা নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করতে চলেছি। আমি বেঁচে থাকতে যোগ্য প্রার্থীদের চাকরি কাড়তে দেব না। চাকরিহারাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য জেলে যেতে তৈরি। শিক্ষা ব্যবস্থাকে ভেঙে দেওয়ার চক্রান্ত। চাকরি দেওয়ার ক্ষমতা নেই। কাড়ার ক্ষমতা আছে। তাঁদের ধিক্কার জানাই। আমি সিপিএমের একজনের চাকরিও খাইনি।
চাকরি হারিয়ে চরম সমস্যায় পড়েছেন শিক্ষক শিক্ষিকারা। নেমে এসেছে আকস্মিক দুর্যোগ। অসহায় অবস্থা তাঁদের। শিশুদের দুধ কেনার টাকা নেই। অনেকে ফ্ল্যাটের ইএমআই দিতে পারছেন না। সুপ্রিম কোর্ট কলকাতা হাইকোর্টের রায় বজায় রেখে নিয়োগের প্যানেলই বাতিল করে দিয়েছে। সেই ঘটনায় অনেক স্কুল কার্যত লাটে ওঠার জোগাড়। এমন স্কুলও রয়েছে যেখানে ৩৪ জনের চাকরি গিয়েছে। ছেলে মেয়েদের পড়াশোনরা কী হবে ভেবে উদ্বিগ্ন সাধারণ পরিবারের বাবা-মায়েরা। মুখ্যমন্ত্রীর কথায় এদিন উঠে এসেছে অনেকে রয়েছেন যাঁরা স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত। চাকরিহারাদের অনেকের প্রশ্ন, আমাদের অপরাধ কী? বিচারে বলা হয় একজন নিরাপরাধও যেন সাজা না পায়। যোগ্য অযোগ্য বাছাই না করতে পারলে তার অপরাধ আমাদের কেন হবে?
আরও পড়ুন: শিক্ষাব্যবস্থাকে ভেঙে ফেলার চক্রান্ত, ২০২২ থেকে নোংরা খেলা শুরু হয়েছে, ম্যারাথন আক্রমণ মমতার
দেখুন অন্য খবর:
