কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গের স্কুল সার্ভিস কমিশনের (School Service Commission) ২০১৬ সালের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণরূপে বাতিল (Recruitment Cancelled) করল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। এর ফলে ২৫,৭৫৩ জনের চাকরি চলে গেল। দেশের শীর্ষ আদালত কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) রায়কেই বহাল রেখেছে। যদিও হাইকোর্টের রায়ে সামান্য কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। কিন্তু চাকরি বাতিলের সিদ্ধান্তে কোনওরূপ হস্তক্ষেপ করেনি দেশের সর্বোচ্চ আদালত।
সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ব্যাপক কারচুপি হয়েছে। তার জন্য পুরো নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বেঞ্চ। আদালত আরও জানায়, যেহেতু উত্তরপত্র বা ওএমআর শিট উদ্ধার করা যায়নি, তাই অধিকাংশ ক্ষেত্রে ‘যোগ্য’ এবং ‘অযোগ্য’ প্রার্থীকে পৃথকভাবে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি। ফলে গোটা প্রক্রিয়াটিই বাতিল করা হয়েছে। সেই সঙ্গে বেতন ফেরত দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে আদালতের তরফে।
আরও পড়ুন: “অনভিপ্রেত…,” সুপ্রিম রায়ের পর আর কী বললেন সোমা দাস?
এখন প্রশ্ন হচ্ছে যে, কাদের বেতন ফেরত দিতে হবে? সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্টভাবে জানিয়েছে, যাঁরা ‘অযোগ্য’ বা ‘দাগী’ প্রার্থী হিসাবে চিহ্নিত হয়েছেন, তাঁদের কেবল চাকরি নয়, এতদিনের পাওয়া বেতনও ফেরত দিতে হবে। অর্থাৎ, যারা সাদা ওএমআর শিট জমা দিয়েছেন, তাদের বেতন ফেরত দিতে হবে। এই ধরণের প্রার্থীর সংখ্যা প্রায় সাত হাজার বলে জানা গিয়েছে।
তাহলে কাদের বেতন ফেরত দিতে হবে না? এই বিষয়ে দেশের সর্বোচ্চ আদালত জানিয়েছে, যাঁদের সরাসরি ‘অযোগ্য’ বলে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি, তাঁদের চাকরি গেলেও বেতন ফেরত দিতে হবে না। আদালতের মতে, সংবিধানের ১৪ ও ১৬ নম্বর ধারার পরিপন্থী হওয়ায় পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়াই অবৈধ বলে বিবেচিত হয়েছে।
দেখুন আরও খবর: