বাঁকুড়া: বৃদ্ধা মা ও বড় দাদাকে খুনের অভিযোগ উঠল ছোটো ভাইয়ের বিরুদ্ধে। সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার খাতড়া শহরের জলডোবরার দুর্গা মন্দির সংলগ্ন এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের নাম লক্ষ্মী বাউরি ও দেবু বাউরি। এই ঘটনায় আহত ওই পরিবারের আরও তিন জন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পেশায় কাঠ মিস্ত্রি বছর ৩০ এর গোপি ওরফে শিবু বাউরি গতকাল রাতে বাড়িতে ঢুকে আচমকাই বৃদ্ধা মা লক্ষ্মী বাউরিকে লোহার রড দিয়ে আঘাত করে। চিৎকার শুনে বড় দাদা দেবু বাড়ির বাইরে বেরিয়ে এলে তাঁকেও ওই রড দিয়ে আঘাত করে বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় মা ও দাদার। এরই মাঝে ওই দু’জনকে বাঁচাতে এলে আক্রমণের হাত থেকে রেহাই পাননি মৃত দেবু বাউরির স্ত্রী মঙ্গলা বাউরি, তাঁদের অন্তঃস্বত্বা মেয়ে শিখা বাউরি ও বাড়িতে থাকা বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন বোন সুলেখা বাউরি। একই পরিবারে দু’জন খুনের ঘটনায় ওই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: সকাল বেলায় দুর্ঘটনা! মৃত ৪ মহিলা সহ আহত ১১
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে খাতড়া থানার পুলিশ। পুলিশ অভিযুক্ত গোপিকে রাতেই গ্রেফতার করে। পাশাপাশি মৃতদেহ দু’টি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য খাতড়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়। একই সঙ্গে ওই ঘটনায় গুরুতর আহত মঙ্গলা, শিখা ও সুলেখাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে মা-মেয়ে মঙ্গলা ও শিখার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে।
হাসপাতালের বেডে শুয়ে মঙ্গলা বলেন, ঠিক কী কারণে এই আক্রমণের ঘটনা তাদের কারও কাছেই স্পষ্ট নয়। এই জোড়া খুনের ঘটনা ছোটো দেওর গোপিই ঘটিয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। ঘটনার অন্যতম প্রত্যক্ষদর্শী মেজো বৌদি সরস্বতী বাউরি বলেন, ছেলেকে বাড়ির ভিতরে পড়াচ্ছিলাম। বাইরে বেরিয়ে এসে দেখি শাশুড়ি ও ভাশুরকে ছোটো দেওর শাবল দিয়ে আঘাত করে খুন করেছে। এমনকী মঙ্গলাও আক্রমণের হাত থেকে রেহাই পাননি বলে তিনি জানান। অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন ওই এলাকার মানুষ।
দেখুন আরও অন্যান্য খবর: