পূর্ব মেদিনীপুর: নিম্ন মানের সামগ্রী ব্যবহার করায় চলতি পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকা জলে। এক বছরের নতুন গার্ডওয়াল ভাঙল বিডিও অফিসের। নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে তৈরি হয়েছে কংক্রিটের গার্ডওয়াল। বছর ঘুরতে না ঘুরতেই নতুন তৈরি হওয়া কংক্রিটের গার্ডওয়ালের একাংশ ভেঙে গিয়েছে। অবশেষে পড়ল জলের তলায়। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা ১ ব্লকের বিডিও অফিসে।
২০২৩ -২৪ অর্থবর্ষে পঞ্চদশ অর্থ কমিশনে বরাদ্দ প্রায় ১০ লক্ষ টাকা ব্যায়ে একটি কংক্রিটের গার্ডওয়াল তৈরি হয়েছিল। অভিযোগ, কাজ শেষ হওয়ার কয়েকদিনের মধ্যেই গার্ডওয়ালের বেশকিছু অংশ ভেঙে পড়ে। বিরোধীদের অভিযোগ, তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত সমিতি ঠিকাদারের কাছ থেকে কাটমানি খেয়েছে। তাই ঠিকাদার লাভের আশায় নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করায় ওই গার্ডওয়ালটি ভেঙে পড়ে। এই ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে স্থানীয় এলাকায়।
আরও পড়ুন: পেট্রাপোলে চালু ২ দেশের মধ্যে আমদানি-রফতানি
তবে এই বিষয়ে এগরা ১ ব্লক প্রশাসন ও পঞ্চায়েত সমিতির কাছ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। এ প্রসঙ্গে এগরা ১ ব্লক ঠিকাদার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক শেখ মুক্তাজল ফোনে জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে সুকুমার নায়ক নামের এক ঠিকাদার এই কাজটি করেছিলেন। সে আমাদের সংগঠনের কথা মানতো না। সে নিজের মতো কাজ করেন। যেদিন অফিস বন্ধ থাকতো, সেই দিনগুলিতেসে গার্ড ওয়ালের কাজ করেছে। বিডিও সাহেব ও প্রশাসন রয়েছে। যদি ওই ঠিকাদার খারাপ কাজ করেন, প্রশাসনের উচিত তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া।
যদিও গোটা বিষয়টি নিয়ে পুরোপুরিভাবে এড়িয়ে গিয়েছেন ওই ঠিকাদার। তিনি এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে এদিন এগরা ১ পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি সত্য চক্রবর্তী জানিয়েছেন, আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। বিরোধীরা অনেক কিছুই দাবি করতে পারে। তবে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ক্ষেত্রে নতুন বা পুরোনো নির্মাণ ক্ষতিগ্রস্ত হতেই পারে। প্রচন্ড বৃষ্টিতে ধস নামার ফলে গার্ডওয়ালের কিছুটা অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই ধরণের কাজ ঠিকাদারকে দিয়ে করানো হয়। যে টুকু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেটা এজেন্সিকে দিয়ে পুনরায় যাতে নির্মাণ করা যায় তার ব্যবস্থা করা হবে।
দেখুন আরও অন্যান্য খবর: