গোয়ালপোখর: গোয়ালপোখরে (Goalpokhar) পাঞ্জিপাড়ার তৃণমূল (TMC) পঞ্চায়েত প্রধান মহম্মদ রাহীর খুনের ঘটনা নিয়ে হইচই শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতেই ওই ঘটনায় জড়িত সন্দেহ পুলিশ (Police) গ্রেফতার (Arrest) করে মহম্মদ মোস্তাফা নামে কংগ্রেসের (Congress) এক পঞ্চায়েত সদস্যকে। পুলিশের দাবি, নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতেই ওই কংগ্রেস সদস্যকে গ্রেফতার করে হয়েছে। এছাড়াও আরও কয়েকজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। কংগ্রেস এদিন ধৃত পঞ্চায়েত সদস্যের মুক্তির দাবিতে পুলিশ ফাঁড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখায়।
এদিকে কংগ্রেসের অভিযোগ, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণে খুন হতে হয়েছে পঞ্চায়েত প্রধান রাহীকে। সেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আড়াল করতেই কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। চাকুলিয়ার প্রাক্তন বাম বিধায়ক এবং বর্তমানের কগ্রেস নেতা আলি ইমরান রামিজ ওরফে ভিক্টর বলেন, ওই পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের কোন্দল চরমে উঠেছিল। ভিক্টরের দাবি, সেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণেি খুন হতে হয়েছে পঞ্চায়েত প্রধানকে। এর সঙ্গে কংগ্রেসের কোনও সম্পর্ক নেই। কংগ্রেস নেতা বলেন, বৃহস্পতিবার মহম্মদ মোস্তাফা পঞ্চায়েত প্রধানের সঙ্গে ছিলেন বলে পুলিশ তাঁকে সাক্ষী হিসেবে আটক করে। পরে তৃণমূলের চাপে পড়ে বেশি রাতে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। আমরা চাই, ঘটনার পুরনাংগ তদন্ত করুক এবং দোষীদের শাস্তি দিক।
আরও পড়ুন: ভরদুপুরে গুলিবিদ্ধ তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান, হাসপাতালে মৃত্যু
তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি ফিরোজ খান জানান, পুলিশ তদন্তের কিনারা করতে না পারলে তাঁরা সিবিআই তদন্তের দাবি করবেন। ফিরোজ বলেন, বৃহস্পতিবার পঞ্চায়েত ভবন থেকে মোস্তাফার বাইকেব চেপেই বাড়ি ফিরছিলেন পঞ্চায়েত প্রধান। দুষ্কৃতীরা প্রধানকে গুলি করল, অথচ কোনও গুলি মোস্তাফার গায়ে লাগল না। এটা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। তাছাড়া প্রধান গুলিবিদ্ধ হওয়ার পরেও কী করে মোস্তাফা চলে গেলেন, প্রশ্ন রয়েছে তা নিয়েও।
ইসলাম পুলিশ জেলার সুপার, যসপ্রিত সিং বলেন, আমরা বেশ কিছু সূত্র পেয়েছি। বিহার এবং ঝাড়খন্ড পুলিশের সংতে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। বিহার থেকে কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার বিকেলে পঞ্চায়েত ভবন থেকে বাড়ি ফেরার পথে গুলিবিদ্ধ হন তৃণমূলের প্রধান মহম্মদ রাহী। প্রথমবার দু রাউন্ড গুলি চালানো হয়, কিন্তু লক্ষভ্রষ্ট হয়ে যায়। বাইক তাড়া করে কিছুটা দূরে গিয়ে আরও ৩ রাউ ন্ড গুলি চালায় দুটি বাইকে চেপে আসা দুষ্কৃতীরা। সেই গুলি লাগাতেই লুটিয়ে পড়েন মহম্মদ রাহী। প্রথমে তাঁকে কিষানগঞ্জের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। পরে অবস্থা খারাপ হওয়ায় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে নিয়ে আসা হয় তাঁকে। সেখানেই তিনি মারা যান।