কাতার: বিশ্বকাপ (World Cup) যত এগোচ্ছে খেলা তত খুলছে ব্রাজিলের (Brazil)। দক্ষিণ কোরিয়ার (South Korea) বিরুদ্ধে শেষ ষোলোর (Round Of 16) ম্যাচে তাদের জয় নিয়ে সন্দেহ ছিল না। কারও মনে যদি সামান্যতম সংশয় থেকেও থাকে তা খেলার শুরুর সাত মিনিটের মধ্যে দূর হয়ে গেল। প্রথম গোল করলেন ভিনিসিয়াস জুনিয়র (Vinicius Jr)। প্রথমার্ধেই চারটে গোল।
ব্রাজিল যে ব্র্যান্ডের ফুটবল খেলে তাকে বলে জোগা বোনিতো (Joga Bonito), অর্থাৎ সুন্দর ফুটবল। কোরিয়ার বিরুদ্ধে ফুল ফোটালেন নেইমাররা (Neymar)। উঁচুদরের একক দক্ষতা এবং অনবদ্য পারস্পরিক বোঝাপড়া যখন মিশ খায়, তখনই এমন ফুটবল খেলা সম্ভব। ভিনির গোলের সময় রাফিনহার ড্রিবলিং কিংবা রিচার্লিসনের (Richarlison) গোলের ক্ষেত্রে তাঁর নিজের বল কন্ট্রোল ছাড়াও থিয়াগো সিলভার পাস, বলে শেষ করা যাবে না। কোরিয়ার কপাল ভাল মাত্র চারটে গোল খেয়েছে। অবশ্য ৭৬ মিনিটে তাদের পাইক সিউং-হোর দূরপাল্লার গোলের প্রশংসা করতেই হয়।
আরও পড়ুন: Cristiano Ronaldo: ইউরোপ থেকে বিদায়, পাকাপাকি মধ্যপ্রাচ্যেই থেকে যাচ্ছেন রোনাল্ডো!
লিয়োনেল মেসির (Lionel Messi) ভক্তদের হয়তো শুনতে খারাপ লাগবে, এই ব্রাজিলের সঙ্গে আর্জেন্টিনার (Argentina) এঁটে ওঠা মুশকিল। এটা মেসির শেষ বিশ্বকাপ, তিনি সর্বকালের অন্যতম সেরা, একবার কাপ জয়ের স্বাদ পাওয়া উচিত— এ জাতীয় সমস্ত আবেগের কথা মাথায় রেখেও বলতে হবে ব্রাজিল ফাইনালে যাচ্ছে। যদি না যায় সেটাই হবে আশ্চর্যের।
এই বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী দলগুলোর মধ্যে একমাত্র ফ্রান্স ব্রাজিলের সঙ্গে টক্কর দিলেও দিতে পারে। আর্জেন্টিনাও ভাল দল এবং মেসি দারুণ ফর্মে ঠিকই, কিন্তু ব্রাজিল দলের প্রত্যেক পোজিশনের প্লেয়াররা একাই ম্যাচের রং বদলে দিতে পারেন। এত ম্যাচ উইনার যে দলে তারা নিঃসন্দেহে ফেভারিট। মধ্যপ্রাচ্য থেকে বিশ্বকাপ সম্ভবত সাম্বার দেশেই যাচ্ছে। না হলে অঘটন।