কলকাতা: কেন্দ্রীয় হারে বকেয়া ডিএ-র (DA) দাবিতে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের (WB State Employees) ৩৬টি সংগঠনের সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ (Sangrami Joutho Mancha) আজ, সোমবার ও আগামিকাল, মঙ্গলবার কর্মবিরতির (Pen Down) ডাক দিয়েছে। এদিন সকাল থেকে কলকাতা সহ (Kolkata) রাজ্যের সর্বত্র এই কর্মবিরতি শুরু হয়েছে। সরকারি কর্মীদের এই আন্দোলন নিয়ে রাজ্য কঠোর মনোভাব নিলেও তা উপেক্ষা করেই কর্মবিরতি চলছে। অন্যদিকে, তৃণমূল কংগ্রেসের সরকারি কর্মচারী ফেডারেশন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের ডাকা এই কর্মবিরতির প্রতিবাদে পথে নামছে। নব মহাকরণ, মহাকরণ, খাদ্য ভবন সহ বিভিন্ন সরকারি দফতরে টিফিনের সময় তারা মিছিল-মিটিং করবে।
প্রসঙ্গত, বাজেট ভাষণের সময় অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য প্রায় হঠাৎ করেই রাজ্য সরকারি কর্মীদের ৩ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধির ঘোষণা করেন। তারপর থেকেই রাজ্য কর্মীরা কেন্দ্রীয় কর্মচারীদের হারে ডিএ এবং বকেয়ার দাবিতে আন্দোলনে নামেন। আন্দোলনকারী সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক কিঙ্কর অধিকারী বলেন, সরকার যে নির্দেশিকা জারি করেছে, কাজে যোগ না-দিলে চাকরি জীবনে ছেদ পড়বে। সেই নির্দেশিকাকে উপেক্ষা করেই বহু সরকারি কর্মচারী ও শিক্ষক তাঁদের এই মঞ্চে যোগদান করেছেন। যদিও ফেডারেশনের তরফে দাবি করা হয়েছে, বিভিন্ন সরকারি দফতরে কাজকর্ম স্বাভাবিক চলছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও (CM Mamata Banerjee) নবান্নে (Nabanna) চলে আসেন ১১টা ৫১ মিনিটে।
আরও পড়ুন: Calcutta High Court: স্কুলে ছাত্র-শিক্ষক অনুপাত নিয়ে শিক্ষা দফতরকে ফের তোপ আদালতের
এদিন সল্টলেকের ল্যান্ড রিফর্মস এবং টেনেন্সি ট্রাইবুনাল অফিসের সামনেও কর্মচারীদের বিক্ষোভ প্রদর্শন চলে। ৪৮ ঘণ্টা কর্মবিরতির ডাকে সোমবার দুপুরে সল্টলেকের ল্যান্ড রিফর্মস এবং টেনেন্সি ট্রাইবুনাল অফিসের কর্মচারীরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। তারা বুকে ব্যাজ পরে অফিসের গেটের সামনে দাঁড়িয়ে বকেয়া ডিএ-র দাবিতে স্লোগান দেন। ওদিকে, সকাল থেকে খাদ্য ভবনের মূল গেটের সামনে চলে স্লোগান এবং কর্মবিরতি।
একইভাবে যৌথ মঞ্চের সদস্যরা রাজ্যের বিভিন্ন জেলাতেও কর্মবিরতি পালন করেন। ডিএ-র দাবিতে পুরুলিয়ায় কর্মবিরতির ডাক দেন সরকারি কর্মচারী এবং ওয়েস্ট বেঙ্গল কোর্ট এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের কর্মচারীরা। ব্যানার, পোস্টার হাতে নিয়ে পূর্ণ দিবস কর্মবিরতির ডাক দিয়ে কোর্ট কর্মচারীরা অবস্থান বিক্ষোভে শামিল হয়েছেন। একই সঙ্গে রঘুনাথপুর মহকুমা আদালতেও কর্মবিরতিতে শামিল হয়েছেন কর্মচারীরা। এর আগে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি একই দাবিকে সামনে রেখে কর্মবিরতির ডাক দিয়েছিলেন সরকারি কর্মচারীরা।
বাঁকুড়া জেলা আদালতেও যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের ডাকে কর্মবিরতি সরকারি কর্মচারীদের। এদিন বাঁকুড়া জেলা আদালতের জজ কোর্টের বারান্দায় বসে স্লোগান দিয়ে সরকারী কর্মচারীদের চলে কর্মবিরতি। আন্দোলনকারীদের দাবি যতক্ষণ না দাবি পূরণ হচ্ছে, ততক্ষণ আন্দোলন চলবে। হাজিরা দিয়ে কর্মবিরতি করে অবস্থান বিক্ষোভে শামিল হয়েছেন বাঁকুড়া জেলা আদালতের বিভিন্ন শ্রেণির কর্মীরা।
বীরভূমের রামপুরহাট মহকুমা আদালতের কর্মীরাও আন্দোলনে শামিল হন। আজ কর্মস্থলে এসে প্রথমে হাজিরা দেন। তারপর কাজ বন্ধ রেখে তাঁরা আদালত চত্বরে অবস্থানে বসেন। নদিয়া জেলা প্রশাসনিক ভবনে যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের ব্যানারে কর্মবিরতির ডাকে মিছিল করলেন সরকারি কর্মচারীরা। ফলে এদিন সরকারি পরিষেবা পেতে আসা মানুষ বঞ্চিত হলেন। একই চিত্র দেখা গেল কল্যাণী মহকুমা শাসকের অফিস এবং কল্যাণী আদালতেও। কর্মীদের একাংশ যৌথ মঞ্চের ব্যানারে মিছিল করেন। এদিকে, দুদিনের কর্মবিরতি পালন চলছে উত্তর ২৪ পরগনার বারাসত আদালতেও।
 দাবিতে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের (WB State Employees) ৩৬টি সংগঠনের সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ (Sangrami Joutho Mancha) আজ, সোমবার ও আগামিকাল, মঙ্গলবার কর্মবিরতির (Pen Down) ডাক দিয়েছে। এদিন সকাল থেকে কলকাতা সহ (Kolkata) রাজ্যের সর্বত্র এই কর্মবিরতি শুরু হয়েছে। সরকারি কর্মীদের এই আন্দোলন নিয়ে রাজ্য কঠোর মনোভাব নিলেও তা উপেক্ষা করেই কর্মবিরতি চলছে। অন্যদিকে, তৃণমূল কংগ্রেসের সরকারি কর্মচারী ফেডারেশন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের ডাকা এই কর্মবিরতির প্রতিবাদে পথে নামছে। নব মহাকরণ, মহাকরণ, খাদ্য ভবন সহ বিভিন্ন সরকারি দফতরে টিফিনের সময় তারা মিছিল-মিটিং করবে।){kind=link}