লাহোর: পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে (Former Pakistan PM Imran Khan) গ্রেফতার (Arrest Warrant) করা নিয়ে উত্তাল লাহোর (Lahore)। ইমরানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফের (PTI) কর্মী-সমর্থকদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে, কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। ইমরানের বাড়ির ভিতর লক্ষ্য করেও কাঁদানে গ্যাস ছোড়া হয় বলে অভিযোগ।
পিটিআইয়ের মারমুখী সমর্থকদের সঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের খণ্ডযুদ্ধ বাধে। ইসলামাবাদ পুলিশের ডিআইজি (Islamabad DIG) এই ঘটনায় জখম হয়েছেন। উন্মত্ত কর্মীরা লাহোর সহ দেশের বিভিন্ন হাইওয়ে অবরোধ করে রেখেছে। এদিন বিকেল থেকেই সশস্ত্র পুলিশ লাহোরে প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রীর জামান পার্কের বাসভবন ঘিরে ফেলে। লোহার ব্যারিকেড পুঁতে বিভিন্ন রাস্তার মোড় আটকে দেয়। এরইমধ্যে ইমরান এক ভিডিয়ো বার্তায় অনুগামীদের তাতাতে বলেন, সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন আরও তীব্রতর করতে। তাঁকে যদি এই সরকার জেল পাঠায় কিংবা মেরেও ফেলে, তাতেও যেন এই লড়াই না থামে। এরপরেই পুলিশের বিরুদ্ধে মারমুখী হয়ে ওঠে জনতা।
আরও পড়ুন: Bratya Shashi PC | দল কারও দুর্নীতির দায় নেবে না, জানালেন ব্রাত্য-শশী
এদিকে, দলনেতার গ্রেফতারি পরোয়ানা নিয়ে পিটিআই ইসলামাবাদ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলে প্রধান বিচারপতি বুধবার শুনানির দিন ধার্য করেছেন। যদিও পিটিআই এদিনই জরুরি ভিত্তিতে শুনানির দাবি তুলেছিল। কিন্তু, সেই আবেদন খারিজ করে দেন প্রধান বিচারপতি আমির ফারুক।
এদিন বিকেল থেকে লাহোরসহ পাকিস্তানের বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে ইমরান অনুগামীরা। লাহোরের পরিস্থিতি সবথেকে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। পিটিআইয়ের সমর্থকরা লাঠিসোটা নিয়ে আক্রমণ করে পুলিশকে। যথেচ্ছ ইট-পাটকেল ছোড়া হয়। জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ প্রথমে লাঠি চালায়, জলকামান চালায়। তাতেও কাজ না-হওয়ায় কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। শেষ পর্যন্ত পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, এখনও ইমরান-ভক্তদের দমানো সম্ভব হয়নি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আধা সামরিক বাহিনী ডাকা হয়েছে।
সূত্রে জানা গিয়েছে, দলের উচ্চপদস্থ নেতারা ইমরানের সঙ্গেই তাঁর বাসভবনে রয়েছেন। সেখানে দলের পরবর্তী কর্মসূচি ও পদক্ষেপ নিয়ে নেতাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেন ইমরান খান। সেখান থেকেই ভিডিয়ো ভাষণে ইমরান বলেন, পুলিশ আমাকে গ্রেফতার করতে এসেছে। ওরা ভাবছে আমাকে গ্রেফতার করলেই বোধহয় পাকিস্তানের মানুষ ঘুমিয়ে পড়বে। কিন্তু, আমি সত্যিকারের আজাদির জন্য আপ্রাণ লড়াই করে যাব। আমার যদি কিছু হয়ে যায়, আমি যদি খুন হই, তাহলে আপনারা প্রমাণ করে দেবেন এই লড়াই যেন জারি থাকে। একজনের সিদ্ধান্ত প্রাণ থাকতে মেনে নেবেন না। আপনাদের কাছে আমার আবেদন, আইনের শাসন, স্বাধীনতা রক্ষার লড়াইয়ে শামিল হন।