Sunday, June 8, 2025
Homeচতুর্থ স্তম্ভFourth Pillar | ভারতরত্নের রাজনীতি, তার পিছনের আসল সত্য
Fourth Pillar

Fourth Pillar | ভারতরত্নের রাজনীতি, তার পিছনের আসল সত্য

Follow Us :

রবি ঠাকুরের বিসর্জনে এক বড় প্যারাগ্রাফ জুড়ে হত্যার জাস্টিফিকেশন দিচ্ছেন রঘুপতি, বলছেন হত্যা সর্বত্র। বলছেন,

কে বলিল হত্যাকাণ্ড পাপ! এ জগৎ মহা হত্যাশালা। জানো না কি

প্রত্যেক পলকপাতে লক্ষকোটি প্রাণী

চির আঁখি মুদিতেছে! সে কাহার খেলা?

হত্যায় খচিত এই ধরণীর ধূলি। প্রতিপদে চরণে দলিত শত কীট —

তাহারা কি জীব নহে? রক্তের অক্ষরে

অবিশ্রাম লিখিতেছে বৃদ্ধ মহাকাল

বিশ্বপত্রে জীবের ক্ষণিক ইতিহাস।

হত্যা অরণ্যের মাঝে, হত্যা লোকালয়ে,

হত্যা বিহঙ্গের নীড়ে, কীটের গহ্বরে,

অগাধ সাগর-জলে, নির্মল আকাশে,

হত্যা অকারণে, হত্যা অনিচ্ছার বশে —

চলেছে নিখিল বিশ্ব হত্যার তাড়নে

ঊর্ধ্বশ্বাসে প্রাণপণে, ব্যাঘ্রের আক্রমে মৃগসম,

মুহূর্ত দাঁড়াতে নাহি পারে।

হঠাৎ আমার মনে হল, ওই হত্যার বদলে রাজনীতি কথাটাও এখন অনায়াসে ব্যবহার করাই যায়। ছিল না কি রাজনীতি সর্বত্র? সমাজ জীবনে অর্থনীতিতে সর্বত্রই কি রাজনীতির বিশাল ছায়া ছিল না? ছিল। কিন্তু এমন সর্বগ্রাসী ছিল না। মানে লখনউ যাবেন, টুন্ডে কাবাব খাবেন, তা রাজনীতির বিষয় ছিল না। জ্যোতি বসু অনায়াসে তাঁর বাড়ির ছোট্ট ব্যালকনিতে লুঙ্গি পরে, পাশে চায়ের কাপ রেখে খবরের কাগজ পড়তেন, লিখেছিলেন নবনীতা দেবসেন। কেউ লুঙ্গি পরলেই মুসলমান হয়ে যায় এমন তত্ত্ব আনেননি। রাষ্ট্র ও সমাজ জীবনের বহু ক্ষেত্রেই রাজনীতির এই কর্কশ ছায়া ছিল না। ছিল না বলেই বামপন্থীদের ভারি প্রিয় ফয়েজ আহমদ ফয়েজের সঙ্গে দেখা করার জন্যই তাঁর নির্ধারিত কর্মসূচি বা প্রোটোকল ভেঙে দেখা করতে চলে গিয়েছিলেন অটল বিহারী বাজপেয়ী। কিন্তু এখন জমানা পাল্টেছে, জিনস পরা, খোঁচা দাড়ি ইন্টেলেকচুয়াল বোঝাচ্ছেন দেশে গণতন্ত্র আছে কারণ এদেশের গরিষ্ঠাংশ মানুষ হিন্দু। বলছেন তাকিয়ে দেখুন পাশের দেশ পাকিস্তানের দিকে, গণতন্ত্র নেই, কারণ সে দেশে গরিষ্ঠাংশ মানুষ মুসলমান। এদিকে সারা বিশ্বে ডেমোক্রাসি ইনডেক্স-এর তালিকার সবথেকে উপরে কোন দেশ? নরওয়ে। সেদেশে খ্রিস্টানদের মধ্যেও যাঁরা খ্রিস্টান সনাতনপন্থীদের বিরোধিতা করেন, সেই লুথেরান খ্রিস্টানরা জনসংখ্যার ৬৮.৬৮ শতাংশ, ক্যাথলিক খ্রিস্টানরা ৩ শতাংশ, নাস্তিকের সংখ্যা ২৮.৯ শতাংশ আর হ্যাঁ, হিন্দুও আছেন, ০.২৩ শতাংশ, মানে এক শতাংশের চার ভাগের একভাগও নয়। কিন্তু গণতন্ত্রের তালিকাতে সব থেকে উপরে আছে।

না, এসব নিয়ে চর্চা নেই, আপাতত নতুন নতুন তত্ত্ব এনে হাজির করা হচ্ছে, খাবার থেকে পোশাক, গান থেকে ঐতিহাসিক সৌধ, সর্বত্র রাজনীতি, বা বলা যাক দলীয় সংকীর্ণ রাজনীতির করাল ছায়া। কাজেই ভারতরত্ন আর বাদ থাকবে কেন? সেটাও অনায়াসে হয়ে উঠেছে রাজনীতির ঘুঁটি। তো ভারতরত্ন নিয়ে রাজনীতি কি ছিল না? ছিল বইকী। রাজনেতাদের সিদ্ধান্তে কোথাও তো রাজনীতি থাকবে। কিন্তু তা এমন স্ববিরোধী নয়, তা এমন উচ্চকিত নোংরামি নয়। ধরুন সি ভি রামন, বৈজ্ঞানিক, নেহরুর এক প্রিয় মানুষ, কিন্তু তিনি দেশের প্রথম নোবেল পুরস্কার প্রাপক। তারপরের নাম সি রাজগোপালাচারী, যিনি রাজনীতির দিক থেকে নেহরুর বিপরীতেই ছিলেন, বিভিন্ন বিষয়ে চূড়ান্ত মতভেদ ছিল কিন্তু তাতে ভারতরত্ন দেওয়া আটকায়নি। ধরুন অমর্ত্য সেন, ভারতরত্ন পেলেন কিন্তু অটল বিহারী বাজপেয়ীর আমলে। এক পরিচিত বামপন্থী নাই হন অন্তত এক উদারবাদী মানুষকে ভারতরত্ন পুরস্কার দিতে কোনও আপত্তি অটল বিহারীর ছিল না। আবার এই বাংলা থেকে বিধান রায়, মাদার টেরেসা, সত্যজিৎ রায় বা অমর্ত্য সেন, প্রণব মুখার্জি ভারতরত্ন পেলেও রবি ঠাকুরের নাম আসেনি, আসেনি সুভাষচন্দ্র বসুর নাম। নিজের জীবদ্দশাতেই কেবল নয়, ক্ষমতার শীর্ষে থাকাকালীনই ভারতরত্ন পেয়েছেন নেহরু এবং তাঁর কন্যা ইন্দিরা। এসবের কোথাও কোথাও রাজনীতি ছিল বইকী, কিন্তু তালিকার সর্বত্র নয়। কিন্তু মোদিজির বৈশিষ্ট্যই হল নিয়মরীতিকে ভেঙে যে কোনও উপায়ে রাজনৈতিক সুবিধের ব্যবস্থা করা। এনটায়ার পলিটিক্যাল সায়েন্স নিয়ে পড়াশুনো করার পরে উনি গণতন্ত্র মানে বোঝেন সংখ্যাগুরুবাদ, মানে আমার হাতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে, আমরা যা ইচ্ছে তাই করব। আমরা না বলে আমি বলাই ভাল, ওনার যা ইচ্ছে সেটাই হবে কারণ ওনার সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে, এবং তার সমালোচনা হলেই উনি প্রকাশ্যে জনসভাতে ভিকটিম কার্ড নিয়ে হাজির হবেন, বিরোধী দল হমকো গালি দেতে হ্যায়। উনি বিরোধী থাকাকালীন যা করতেন সব ছিল গঠনমূলক সমালোচনা আর এখন বিরোধীরা কেবল গালিগালাজ করে। বচ্চে লোগ তালি বজাও।

আরও পড়ুন: Fourth Pillar | মোদিজির ৩৭০ আসনের দাবি এক বিশুদ্ধ বাওয়াল, হিসেব দিলাম

তো সেই মোদি জমানার শুরুয়াত পণ্ডিত মদন মোহন মালব্যকে ভারতরত্ন দেওয়া থেকে শুরু। এই মদন মোহন মালব্যই ছিলেন অখিল ভারতীয় হিন্দু মহাসভার স্থপতি, কংগ্রেসেও ছিলেন কিন্তু ১৯৩৮-এ মারা যাওয়ার কয়েক বছর আগেই কংগ্রেস ছেড়ে কংগ্রেস ন্যাশনালিস্ট পার্টি তৈরি করেছিলেন। এরপরের ভারতরত্ন নানাজি দেশমুখ, ১৯৪০ সালে উনি রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘে যোগ দিয়েছিলেন, তারপরে তাঁকে উত্তরপ্রদেশে পাঠানো হয়, তিনি হয়ে ওঠেন জনসঙ্ঘের অন্যতম নেতা। এর পরের নাম অটল বিহারি বাজপেয়ী। তারপরের নাম ভূপেন হাজারিকা, এটা ছিল অসমে অসম গণ পরিষদের সঙ্গে হবনবিং-এর সময়, মোদিজির দরকার ছিল অসম সেন্টিমেন্টকে কাজে লাগানোর। এর পরের জন প্রণব মুখার্জি, কংগ্রেসের এক অন্য ধারাকে স্বীকৃতি দিয়ে যতটুকু রাজনৈতিক লাভ পাওয়া যায়। খেয়াল করুন এই বিজেপিই কিন্তু প্রণব মুখার্জির বিরুদ্ধে পি এ সাংমাকে রাষ্ট্রপতি পদে দাঁড় করিয়েছিল। এরপরে একসঙ্গে পাঁচজনের নাম হাজির করলেন মোদিজি। একটা সমস্যা তো আরএসএস–বিজেপির বরাবর আছে, যা কংগ্রেসের ছিল না। কংগ্রেসের মধ্যে বাম, মধ্য আর দক্ষিণপন্থীরা একসঙ্গেই কাজ করেছে, তারা বিভিন্ন স্ববিরোধিতা নিয়েও দেশের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছে, তার এক গৌরবজনক অধ্যায় আছে। কাজেই সেই বিশাল তালিকার বহু মানুষই ভারতরত্ন পেয়েছেন, পেতেই পারেন। কিন্তু বিজেপি-আরএসএস-এর সেই নাম কোথায়? স্মৃতি ইরানি, কঙ্গনা রানাওয়ত, প্রমোদ মহাজন বা অরুণ জেটলি বা সদাশিব গোলওয়ালকর বা নাথুরাম গডসেকে তো এখনই ভারতরত্ন দেওয়া যাচ্ছে না। তাই ভারতরত্ন তাদেরকে দেওয়া যাঁরা কোনও না কোনওভাবে মহাত্মা গান্ধী বা নেহরু বিরোধী, গান্ধী পরিবারের সঙ্গে খারাপ সম্পর্ক, বা অন্তত কংগ্রেস বিরোধী। সোজা কথা হল পুরোদস্তুর রাজনৈতিক ফায়দা পাওয়ার জন্যই ভারতরত্ন দেওয়া শুরু হয়েছে এই মোদি জমানায়।

এবারে বাছা পাঁচজনের নামের তালিকাটা দেখুন। আছেন লালকৃষ্ণ আদবানি। সেই কবেই তাঁকে প্রথমে সরিয়ে দেওয়া হল মার্গদর্শক মণ্ডলীতে, যেখানে তাঁর চুপ করে বসে থাকা ছাড়া কোনও উপায়ও ছিল না। তারপর তাঁকে সক্রিয় রাজনীতি থেকেই সরিয়ে দেওয়া হল। এমনকী যে আযোধ্যা রামরথ যাত্রার পিঠে সওয়ার হয়ে আজ বিজেপির এই জয়জয়কার, সেই রথযাত্রার নায়ক গরহাজির ছিলেন রামমন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের দিনে, রামমন্দির প্রতিষ্ঠার দিনেও। সেদিন আদবানি থাকলে মোদিজির চেয়েও বেশি ছবি ছাপা হত আদবানির, সাংবাদিকরা অশ্রুসজল আদবানির ছবিকেই আনতেন প্রথম পাতায়। তার বদলে মাথা জোড়া চন্দনের প্রলেপ নিয়ে থেকে গেলেন মোদিজি। নেই মুরলী মনোহর জোশি, নেই বিনয় কাটিহার, কেউ নেই, আছেন মোদি। সমালোচনা তো দলের মধ্যেও আছে, অতএব ভারতরত্ন দেওয়া হল আদবানিজিকে, রাজনৈতিক পাপস্খালনের চেষ্টা। কিছুদিন পরে জোশি বা কাটিহারের ভাগ্যেও এমন কোনও ললিপপ ঝুলছে। এরপরের নাম কর্পূরি ঠাকুর, যাঁর সরকার ফেলে দিয়েছিল এই বিজেপি, সেই কর্পূরি ঠাকুর যিনি জাতিভিত্তিক সংরক্ষণের নতুন দিশা নিয়েই রাজনীতি শুরু করেছিলেন। এক নীতীশের কাছে নতুন বাহানা এল, দুই সামনেই বিহারের ইলেকশন, অতি পিছড়েদের ভোট পাওয়ার এক আকুলি চেষ্টা তো করা হল। না হলে আরএসএস–বিজেপির রাজনীতির সঙ্গে কর্পূরি ঠাকুরের কী সম্পর্ক আর কর্পূরি ঠাকুর সেই অর্থে দেশের রাজনীতির যে এক বিশাল স্তম্ভ তাও নয়। কিন্তু বিহারে তিনি এক ফ্যাক্টর যা কাজে লাগানোর চেষ্টা করা হল। পরের নাম চৌধুরি চরণ সিং। এই চরণ সিং উত্তরপ্রদেশে ক্ষমতায় থাকাকালীন সমর্থকদের দিয়ে, পুলিশ দিয়ে জনসঙ্ঘের জনসভা ভেঙে দিয়েছিলেন, মাঠে নামতেই দিতেন না। এই চরণ সিংই জনতা দলের মধ্যে দ্বৈত সদস্যপদের বিরোধিতার কথা বলা শুরু করেছিলেন। জনসঙ্ঘের পুরনো নেতারা দল ছেড়ে জনতা দলে তো গিয়েছিলেন কিন্তু আরএসএস-এর সদস্যপদ ছাড়েননি। চরণ সিং বলেছিলেন, এক দলে থেকে আরেক সংগঠনের সদস্যপদ রাখা যায় না। পুরনো জনসঙ্ঘিরা জনতা দল ছেড়ে বেরিয়ে বিজেপি তৈরি করেছিলেন। এই চরণ সিংহের সরকার ফেলেছিল এই বিজেপি আর বামেরা। এই চরণ সিংহ চিরটাকাল জাঠদের বুঝিয়েছেন আমরা কৃষক, কৃষকদের ধর্ম মাটি। জাঠ হিন্দু আর জাঠ মুসলিমদের নেতা ছিলেন চরণ সিং। সেই চরণ সিংহকে ভারতরত্ন দিলেন মোদিজি, হাতেনাতে ফল, ভারতীয় লোকদলের নেতা জয়ন্ত চৌধুরি, চৌধুরি চরণ সিংয়ের নাতি ইন্ডিয়া জোট ছেড়ে চলে গেলেন এনডিএ-তে। পশ্চিম উত্তরপ্রদেশে খানিক শক্তি বাড়ল বিজেপির। সেই কবেই নরসিমহা রাও তাঁর সবচেয়ে বড় প্রণামী দিয়েছিলেন আরএসএসকে। বাবরি মসজিদ ভাঙছে, উনি বাড়িতে এক যজ্ঞ করছিলেন যাতে সেই ভাঙা কোনও গন্ডগোল ছাড়াই শান্তিতে মিটে যায়। পরবর্তীতে কংগ্রেসের সঙ্গে এই দক্ষিণী কংগ্রেসি নেতার যথেষ্ট দূরত্ব তৈরি হয়েছিল। তাঁকে ভারতরত্ন দিয়ে দক্ষিণী ভোটারদের কাছে খানিক বার্তা দেওয়া হল আর কংগ্রেসকেও খানিক বিব্রত করা গেল।

এবং শেষ নাম হল সবুজ বিপ্লবের হোতা এম এস স্বামীনাথন। উনি সবুজ বিপ্লবের হোতা এটা যেমন ঠিক তেমনই তিনি দেশের কৃষি ব্যবস্থা, ফসল, ফসলের দাম, বাজার নিয়েও প্রচুর পড়াশুনো করেছেন। তাঁর নেতৃত্বে এক কমিটি ফসলের দাম, কৃষকের প্রাপ্য নিয়ে এক বিস্তারিত রিপোর্টে মিনিমাম সাপোর্ট প্রাইস, ন্যূনতম সংরক্ষণ মূল্যের সুপারিশ করেছেন, যে রিপোর্টের সুপারিশ লাগু করার জন্যই কৃষকরা লাগাতার আন্দোলন করেই চলেছেন। এখনও সেই আন্দোলন চলছে, সেই আন্দোলনকে থামিয়ে দেওয়ার জন্য, শেষ করে দেবার জন্য এই মোদি সরকার একের পর এক ব্যবস্থা করেছে। কখনও দেশবিরোধী বলেছেন, টুকরে টুকরে গ্যাং বলেছেন, কখনও জলকামান আর লাঠি দিয়ে সামলানোর চেষ্টা করেছেন, কখনও রাস্তায় কাঁটা পুঁতে কৃষকদের দিল্লিতে ঢোকার পথে ব্যারিকেড তৈরি করেছেন। আজও সেই ব্যারিকেড সরিয়ে কৃষকরা দিল্লিতে ঢুকছে। তাঁরা আজও ওই স্বামীনাথন কমিটির সুপারিশ লাগু করার কথা বলছেন, কিন্তু মোদিজি সেসব তো ধর্তব্যের মধ্যেই আনেন না, তাই এম এস স্বামীনাথনকে ভারতরত্ন দিয়ে তামিলনাড়ু সামলানোর চেষ্টা করছেন। আজই ওনার কন্যা অর্থনীতিবিদ মধুরা স্বামীনাথন বলেছেন কৃষকরা ক্রিমিনাল নয়, এইভাবে দমন পীড়ন দিয়ে কৃষক আন্দোলনকে মোকাবিলার পথ ছাড়ুন মোদি সরকার। কিছুদিন আগেই যখন এই মোদি সরকার তিনটে কৃষি বিল কৃষক আন্দোলনের প্রেক্ষিতেই একতরফাভাবে তুলে নিতে বাধ্য হল। তখনও বেঁচে ছিলেন এম এস স্বামীনাথন, বলেছিলেন, যাক, সরকার তাদের ভুল বুঝতে পেরেছে তাতে আমি খুশি। গত সেপ্টেম্বর মাসে তিনি মারা যান, তাঁর কন্যা এই স্বামীনাথন কমিটির রিপোর্ট লাগু করার দাবিও করেছেন। আসলে মোদি সাম্রাজ্যে প্রতিটা পদক্ষেপ ভোটের জন্য, দেশ এগোল, দেশ পিছোল, দেশ চুলোর দোরে গেল, সেসব মোদিজির বিবেচ্য নয়। এক অপদার্থ সরকারে থাকা দলের নেতা মোদিজির একমাত্র বিবেচ্য হল নির্বাচন আর সেই নির্বাচনে যে কোনও মূল্যে জেতা।

RELATED ARTICLES

Most Popular

Video thumbnail
Mahua Moitra | বিয়ের পর মহুয়া মৈত্রর এই ভিডিও দেখলে আপনিও খুশি হবেন...
00:00
Video thumbnail
South 24 Pargana | কোটিপতি চোর, জানার পর কী করল পুলিশ? দেখুন চাঞ্চল্যকর ভিডিও
00:00
Video thumbnail
Weather Update | ফের গরম বাড়বে? দক্ষিণবঙ্গে কবে ঢুকবে বর্ষা? দেখে নিন বড় আপডেট
00:00
Video thumbnail
South 24 Pargana | চোরের প্রাসাদে CCTV, চক্ষু চড়কগাছ পুলিশের, দেখুন এই ভিডিও
00:00
Video thumbnail
Donald Trump | Elon Musk | সরকারে মাস্কের কন্ট্রাক্ট নিয়ে বি/স্ফোরক ট্রাম্প
00:00
Video thumbnail
Good Morning Kolkata | সকালের গুরুত্বপূর্ণ খবর, দেখুন একনজরে সরাসরি
00:00
Video thumbnail
Birbhum | TMC | বীরভূমের জেলা তৃণমূল কোর কমিটিকে ডাক শীর্ষ নেতৃত্বের
04:22
Video thumbnail
Mahua Moitra Wedding | বিয়েতে নাচের ভিডিও শেয়ার করলেন মহুয়া মৈত্র
00:30
Video thumbnail
Shree Jagannatha Temple | Puri | পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে ছাপ্পান্ন ভোগ, কীভাবে তৈরি হয় জগন্নাথের ভোগ?
02:12
Video thumbnail
Mohun Bagan | ভাঙবেন তবু মচকাবেন না
04:50:15