কলকাতা: রাজ্য মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়তে পারেন একাধিক নেতা। নবান্ন সূত্রের খবর, সম্ভাব্য বাদের তালিকায় রয়েছেন সৌমেন মহাপাত্র, রত্না দে নাগ, হুমায়ুন কবীর, পরেশ অধিকারী। সদ্য শপথ নেওয়া বাবুল সুপ্রিয়কে তথ্য ও প্রযুক্তি দফতরের মন্ত্রী করা হতে পারে। প্রদীপ মজুমদারের পঞ্চায়েত দফতরের মন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে পরিষদীয় মন্ত্রী পদে নিয়ে আসা হতে পারে। এটা তাঁর বাড়তি দায়িত্ব হবে কি না, তা অবশ্য এখন পর্যন্ত পরিষ্কার নয়।
কারিগরি শিক্ষা দফতরের মন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা ইন্দ্রনীল সেনের। তিনি তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের প্রতিমন্ত্রীও বটে। হুমায়ুনের হাতে রয়েছে কারিগরি শিক্ষা দফতর। তাঁর বিরুদ্ধে এক মহিলার উপর মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ নিয়ে তোলপাড় চলে তৃণমূলের অন্দরে। চাকরি দেওয়ার নাম করে ওই মহিলাকে হুমায়ুন বাড়ির কাজ করাতেন বলে অভিযোগ। তা নিয়ে দলীয় স্তরে তদন্তও হয়। মনে করা হচ্ছে, সেই কারণেই তিনি মন্ত্রিত্ব খোয়াতে পারেন।
গত বিধানসভা ভোটের আগে আইপিএস অফিসার ইস্তফা দিয়ে তৃণমূলে যোগ দেন। পরিষদীয় দফতর ছিল অপসারিত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হাতে। সৌমেন মহাপাত্র এবং রত্না দে নাগের বিরুদ্ধে দফতরের কাজ ঠিকঠাক না হওয়ার অভিযোগ রয়েছে। মন্ত্রিসভা থেকে সরানো প্রায় নিশ্চিত শিক্ষা দফতরের প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর। স্কুল সার্ভিস কমিশনের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে তাঁর নাম জড়ায়। তাঁর মেয়েকে বেআইনিভাবে স্কুলে চাকরি পাইয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।
যোগ্য প্রার্থীকে টপকে পরেশের মেয়ে অঙ্কিতাকে চাকরি দেওয়া হয়। ববিতা সরকার নামে বঞ্চিত ওই তরুণী মামলা করেন। কলকাতা হাইকোর্ট অঙ্কিতার চাকরি বাতিল করে দেয়। সেই জায়গায় ববিতাকে চাকরি দেওয়ার নির্দেশ দেন আদালত। বিষয়টি নিয়ে সিবিআই এবং ইডি তদন্তে নামে আদালতের নির্দেশে। এত সবের পরেও পরেশকে কেন মন্ত্রিসভায় রেখে দেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে দলের অন্দরেও প্রশ্ন ওঠে।