আমডাঙা: আমডাঙায় (Amdanga) স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের (Swasthya Sathi Card) সাহায্যে অর্থ হাতানো এবং সাংবাদিক (Journalist) নিগ্রহের ঘটনায় ধৃত ৫ জনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল বারাসত আদালত। ওই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বৃহস্পতিবার পুলিশ (Police) গ্রেফতার করে মুস্তাকিন মণ্ডল, আফতাব আলি, শাহিনুর জামান, মিরাজ উদ্দিন এবং রাজকুমার মালকে। এদিন তাদের আদালতে তোলা হয়। তার মধ্যে প্রথম তিন জনের ৫ দিন এবং বাকি দুজনের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিলেন বারাসত আদালতের এসিজেএম সম্রাট রায়।
অস্ত্রোপচার না করেই রোগীর স্বাস্থসাথী কার্ড থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল উত্তর ২৪ পরগনার আমডাঙার জীবন আলো নামে এক নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে। কোনওরকম চিকিৎসা না করেই স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থেকে কয়েক হাজার টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। পাশাপাশি এই খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে কলকাতা টিভির সাংবাদিক এবং চিত্র সাংবাদিক আক্রান্ত হন। অভিযোগ, নার্সিংহোম মালিকের মদতপুষ্ট দুষ্কৃতীরা বুধবার ওই দুই সাংবাদিকের অপর হাসপাতালের সামনেই চড়াও হয়। মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। মাটিতে ফেলে ব্যাপক মারধর করা হয় ওই দুজনকে। কোনওরকমে তাঁরা পালিয়ে আমডাঙা থানায় আশ্রয় নেন। পরে আমডাঙা থানায় সাংবাদিকরা লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ অবশ্য খুব দ্রুত দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার করেছে। পুলিশের এই তৎপরতায় খুশি সাংবাদিকরা।
স্বাস্থ্যসাথী কার্ড হোল্ডার রাবেয়া বিবির স্বামী আইজুল মণ্ডলের অভিযোগ, তাঁর স্ত্রী স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার জন্য আওয়ালসিদ্ধি এলাকার ওই নার্সিংহোমে গিয়েছিলেন। সেখানে নার্সিংহোমের তরফে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড রয়েছে কি না তা জানতে চাওয়া হয়। এরপর আইজুল স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষকে দেন। কার্ড পরীক্ষার নাম করে নার্সিংহোম সেখান থেকে ১৮ হাজার ৩৯ তাকা তুলে নেয় বলে অভিযোগ। তারা আইজুলকে জানায়, কার্ডটি খারাপ আছে। কার্ডটি বারাসতে জেলাশাসকের দফতর থেকে ঠিক করা যাবে বলেও পরামর্শ দেওয়া হয় আইজুলকে।
এদিকে জেলাশাসকের দফতরে গিয়ে আইজুল জানতে পারেন, স্ত্রীর হার্নিয়া অপারেশনের নামে ওই টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। পরে আইজুল স্বাস্থ্যসাথী দফতর, আমডাঙা থানা, আমডাঙার বিডিও অফিস, জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক এবং জেলাশাসকের দফতরে লিখিত অভিযোগ করেন। কিন্তু তাতেও কোনও সুরাহা হয়নি। টাকাও মেলেনি। হয়নি কার্ডেরও সুরাহা। সেই ঘটনার খবর সংগ্রহ করতে গিয়েই বুধবার আক্রান্ত হন কলকাতা টিভির দুই সাংবাদিক।