কলকাতা: অয়নের(Ayan Shil) ফ্ল্যাটের ডাস্টবিন থেকে পাওয়া কাগজে মিলেছে একাধিক পুরসভার নাম। ডাস্টবিনেই মিলেছিল পুরসভায় চাকরিপ্রার্থীদের(Job seeker in municipality) তালিকা। বিভিন্ন পুরসভায় পাঁচ হাজার নয়, প্রায় ছয় হাজার বেআইনি নিয়োগ হয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ধৃত অয়ন শীলকে জেরা করেই ইডির(Enforcement Directorate) এসব জানতে পেরেছে।
তদন্তে নেমে ইডি জানতে পেরেছে পুরসভায়(Municipality) নিয়োগে অয়নের বিপুল প্রভাবের কথা। জিজ্ঞাসাবাদ করে পুরসভায় নিয়োগ দূর্নীতির বিপুল তথ্য পায় ইডি। তদন্তকারীরা মনে করছেন, অয়ন পুরসভায় নিয়োগের বরাত পেতে একাধিক সংস্থা খুলেছিল। জানা গিয়েছে, প্রায় ৬০টিরও বেশি পুরসভায় ৬ হাজারের বেশি মানুষের বেনিয়মে চাকরি হয়েছে। বঞ্চিত হয়েছেন যোগ্য প্রার্থীরা। সূত্রের খবর, আরও কোন কোন পুরসভার সঙ্গে অয়নের সংস্থার চুক্তি হয়েছে? এবিএস ইনফোজোনকে মেল করে তা জানতে চেয়েছে ইডি। তিনটি ব্যাঙ্কের কাছেও চাওয়া হয়েছে অয়নের সংস্থার অ্যাকাউন্টের তথ্য।
আরও পড়ুন:Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতিতে পার্থ মাস্টারমশাই, আদালতে দাবি ইডির
আবাসন ব্যবসা করার জন্য অয়ন এবিএস ইনফ্রাজোন নামেও সংস্থা খুলেছিল। তথ্য বলছে ২০০৬ সালে হুগলিতে পঞ্চায়েত ও গ্রাম উন্নয়ন দফতরের নিয়োগের ক্ষেত্রে অয়নের সংস্থা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল। এবিএস ইনফোজেন প্রাইভেট লিমিটেড নামে এই সংস্থা ২০০৬ সালে হুগলিতে পঞ্চায়েত ও গ্রাম উন্নয়ন দফতরের অধীনে নিয়োগের বরাত পেয়েছিল। ইডি সূত্রে খবর, এবিএস টাওয়ার নামে আবাসন তৈরিতে টাকা গিয়েছে অয়নের এবিএস ইনফ্রাজোন প্রাইভেট লিমিটেডের অ্যাকাউন্টে (Account of ABS Infrazone Pvt)। এই কোম্পানিই ৯০টির বেশি পুরসভায় বিভিন্ন পদে নিয়োগের টেন্ডার পেয়েছিল।
ইডির দাবি, অয়নের নামে প্রায় ১০ কোটি টাকার সম্পত্তির হদিশ পাওয়া গিয়েছে।জমি, বাড়ি, ফ্ল্যাট ফার্ম হাউসও রয়েছে তার। জানা গিয়েছে, রাজারহাট, নিউটাউন, ভাঙড় সহ একাধিক জায়গায় জমি ও ফ্ল্যাট রয়েছে অয়নের। রয়েছে দুটি কোম্পানি, প্রোডাকশন হাউস ও পেট্রোল পাম্পও। কালো টাকা সাদা করতেই কি বিভিন্ন ব্যবসায় টাকা ঢেলে ছিল অয়ন, সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে ইডি। হুগলির গুড়াপে অয়নের ছেলে অভিষেক ও তার বান্ধবী ইমন গাঙ্গুলির নামে একটি পেট্রোল পাম্প রয়েছে। একটাই প্রশ্ন, কোথা থেকে এত বিপুল পরিমাণ টাকার সম্পত্তি(Property) তৈরি করেছে অয়ন? এই কালো টাকা আর কোথায় কোথায় বিনিয়োগ করা হয়েছে সেটাও জানতে চায় তদন্তকারী সংস্থা।