skip to content
Saturday, June 29, 2024

skip to content
HomeBig newsসিগন্যাল ভেঙেছিলেন মালগাড়ির চালক! প্রাথমিক রিপোর্টে চাঞ্চল্যকর তথ্য
Kanchanjunga Express Accident

সিগন্যাল ভেঙেছিলেন মালগাড়ির চালক! প্রাথমিক রিপোর্টে চাঞ্চল্যকর তথ্য

দুর্ঘটনার দিন কী কাজ করছিল না ট্র্যাকিং সিস্টেম, উঠছে প্রশ্ন

Follow Us :

কলকাতা: কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনার (Kanchanjunga Express Accident) দায় কার? রেলের না মালগাড়ির লোকো পাইলাইটের? প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই তদন্ত করবে রেল (Indian Railway)। কাঞ্চনজঙ্ঘা দতুর্ঘটনার পর প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা জানা গিয়েছে, নিয়ম ভেঙে নির্দিষ্ট গতির থেকে অনেক বেশি গতিতে যাচ্ছিলেন মালগাড়ির চালক। মালগাড়ির চালক সিগন্যাল না মানায় এত বড় দুর্ঘটনা ঘটেছে! সূত্রের খবর, দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেনের এক মহিলা যাত্রী নিউ জলপাইগুড়ির জিআরপির কাছে অভিযোগ করেছেন। ওই মহিলা যাত্রীর দাবি, ঘণ্টায় মালগাড়িটির গতি থাকার কথা ১০ কিলোমিটার, কিন্তু মালগাড়িটি চলছিল প্রতি ঘন্টায় ৭৮ কিলোমিটার গতিতে। সত্যিই কি সিগন্যাল ভেঙেছিলেন মালগাড়ির চালক (Loco Pilot Goods Train)? না এর পিছনেও রয়েছে রেলের গাফিলতি সেই সে প্রশ্নও থেকে যাচ্ছে।

রাঙাপানি এবং চটেরহাটের মধ্যেকার স্বয়ংক্রিয় সিগন্যাল। এই পরিস্থিতিতে চালকদের ভরসা ম্যানুয়াল মেমো। রেলের একটি সূত্রে দাবি করা হচ্ছে, দুর্ঘটনার আগে রাঙাপানির স্টেশনমাস্টার কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস এবং মালগাড়ির চালক দু’জনকেই ‘টিএ-৯১২ ফর্ম’ দেন। ফর্ম দু’টিতে একই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। ওই ফর্মে স্পষ্ট ভাবে উল্লেখ করা ছিল, কোন কোন সিগন্যাল লাল থাকা সত্ত্বেও ‘ভাঙতে’ পারবেন চালক। যার ভিত্তিতে সিগন্যাল না থাকলেও নির্দিষ্ট গতিতে ট্রেন এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেন চালক। জানা গিয়েছে দুর্ঘনার আগে ৮.১০ মিনিটে মালগাড়িটি রাঙাপানি স্টেশন থেকে কাগজ সিগন্যাল নেয়। ৮:৩৭ মিনিটে চটেরহাট স্টেশন পেরিয়ে যায়। এত বড় পথ ২ ঘন্টায় অতিক্রম করার কথা সেই পথ ২৭ মিনিটে পার করেছে মালগাড়ি। কাগজ সিগন্য়াল নিয়ম অনুযায়ী, যা গতিবেগ থাকার কথা, তাতে ন্যূনতম দু’ঘণ্টা সময় লাগতো রাঙাপানি থেকে চটেরহাট স্টেশন পৌঁছতে। তা মাত্র ২৭ মিনিটে অভিক্রম করেছে মালগাড়ি। এক্ষেত্রেও ওই মালগাড়িটির চালক নিয়ম ভেঙে দ্রুত গতিতে একের পর একটি সিগন্যাল বেরিয়ে গিয়েছিলেন। তা সত্ত্বেও প্রশ্ন একটা থেকেই যায়, বিষয়টি কন্ট্রোল রুমের নজর এড়ালো কীভাবে? কার ভুলে এই দুর্ঘটনা ঘটল? তদন্ত শুরু করেছেন রেলওয়ে সেফটির চিফ কমিশনার।

আরও পড়ুন: কাঞ্চজঙ্ঘার দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া কামড়া থেকে বেঁচে ফিরলেন বিএসএফ জওয়ান

সত্যিই কি সিগন্যাল ভেঙেছিলেন মালগাড়ির চালক? না এর পিছনেও রয়েছে রেলের গাফিলতি সেই সে প্রশ্নও থেকে যাচ্ছে। অন্যদিকে সোমবার রেল বোর্ডের চেয়ারপার্সনের মুখে একবারও শোনা যায়নি যে রেলের অটোমেটিক সিগল্যান। উল্টে দুর্ঘটনার গোটা দায় মালগাড়ির মৃত চালকের উপর চাপিয়ে দিয়ে সাফ দায় ঝেড়ে ফেলতে চাইচ্ছে রেল। কোনও তদন্ত না করেই সরাসরি চালকের উপর দায় চাপাচ্ছে রেল। সিগল্যান খারাপ থাকার কথা কেন চেপে দেওয়া হল রেলের তরফে। প্রশ্ন উঠছে ওই দিন কি রেলের ট্র্যকিং সিস্টেম ও কি কাজ করছিল না?  কেনও ওই সিগন্যালের আগেই কেন মালগাড়িকে থামিয়ে দেওয়া হল না সে প্রশ্ন উঠছে।  দুর্ঘটনাগ্রস্ত কাঞ্চনজঙঘা এক্সপ্রেসে কেন ছিল না LHB কোচ? এই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অত্যাধুনিক ওই কোচ থাকলে কামরা উলটে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকত না।

এক বছর আগে ২০২৩ সালের ২ জুন করমণ্ডল এক্সপ্রেসের ভয়াবহ দুর্ঘটনাটি ঘটে। ওড়িশার বালেশ্বরের বাহানগায় মালগাড়ির সঙ্গে সংঘর্ষে লাইনচ্যুত হয় করমণ্ডল এক্সপ্রেস। সেই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল প্রায় ৩০০ জন যাত্রীর। শুধু ২০২৩ সালেই ছোট-বড় মিলিয়ে মোট ১৭টি রেল দুর্ঘটনা হয়েছে ভারতে। গত চার বছরের হিসাবে সেই সংখ্যা অনেক বেশি। বারবার দুর্ঘটনার কবলে পড়ছে রেল। বারবার সিগন্যালে ত্রুটি থাকার অভিযোগ উঠেছে। কেন রেলে নজর এরিয়ে যাচ্ছে তা নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন উঠেছে। অভিযোগ, সময়ের চেয়ে বেশি রেক চালাতে বাধ্য করা হচ্ছে ট্রেনের চালকদের। লোকো পাইলট নিয়োগের ব্যাপারে তেমন গুরুত্ব দেওয়া হয়নি বলেই অভিযোগ। বন্দে ভারতের মতো বিলাসবহুল ট্রেনের দিকে নজর দিতে দিয়ে অবহেলা করা করা হচ্ছে বাকি কম খরচের ট্রেনের কামরাগুলিকে। দিনের পর দিন যাত্রী ভাড়া বাড়লেও সঠিক ভাবে কামরা গুলোকে রক্ষণাবেক্ষণ করা হচ্ছে না। রেলের নজরদারির অভাবে যাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। আর কত প্রাণ গেলে হুঁশ ফিরবে রেলের প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।

অন্য খবর দেখুন

RELATED ARTICLES

Most Popular