শিলিগুড়ি: কাঞ্চজঙ্ঘার দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া কামড়া থেকে বেঁচে ফিরলেন বিএসএফ জওয়ান। ছুটি পেয়ে অসুস্থ মাকে দেখতে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে (Kanchanjungha Express Accident) করে বর্ধমানের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন বিএসএফ জওয়ান (BSF Jawan) রাজকুমার বোটব্যাল। সেই ট্রেন পরিণত হয় ধ্বংসস্তূপে ৷ তবে যাত্রার শুরুতেই এক ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার সাক্ষী এই জওয়ান।
বিএসএফের কমিউনিকেশন ও সিগন্যালিং বিভাগে কর্মরত রাজকুমার বোটব্যাল । বর্তমানে কর্মরত মেঘালয়ের চিপুরে। তিনি সোদপুরের বাসিন্দা। অসুস্থ মাকে দেখতেই এক সপ্তাহের ছুটি নিয়ে কলকাতায় ফিরছিলেন। মাকে দেখতে চেপেছিলেন অভিশপ্ত কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে ৷ কিন্তু কে জানত যে, এই যাত্রা সুখকর হবেনা। ভয়াবহ সময় অপেক্ষা করে আছে।
আরও পড়ুন: দুর্ঘটনা কেড়ে নিল প্রাণ, বাড়ি ফেরা হল না ছোট্ট স্নেহার!
সিগন্যালের অপেক্ষায় রাঙাপানিতে দাঁড়িয়ে থাকা কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে পেছন থেকে ধাক্কা মারে একটি মালগাড়ি জার জেরে দুমড়ে মুচড়ে যায় কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের পেছনের তিনটি বগি। তারই মধ্যে জেনারেল বগিতে ছিলেন সেই রাজকুমার। তার সেই ভয়ংকর অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরলেন তিনি। তিনি জানান, হঠাৎ এক বিকট শব্দের পর বগি উল্টে যায় ও বগি একটি নালার মতো লাগছিল এবং একের পর এক প্রায় ৭জন তার শরীরের ওপর পড়ে। তবে সেই ভয়ংকর পরিস্থিতির মাঝেও তিনি তার কর্তব্য ভোলেননি। নিজের প্রাণ হাতে করে দুমড়ানো মোচড়ানো কামরা থেকে বেরিয়ে আসার কথা তাঁর মাথায় আসেনি ৷ সহযাত্রীদের উদ্ধার করাটাই ছিল একমাত্র লক্ষ্য৷ নিজের মাথায় ও হাতে পায়ে চোট পাওয়ার পরেও দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া বগি থেকে বেশ কয়েকজনকে বাঁচিয়ে বের করে আনেন তিনি।
আহত রাজকুমারকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে ৷ তাঁর চিকিৎসার পর মঙ্গলবার সকালে ওই বিএসএফ কর্মীকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। বিপদের মুখে তাঁর কর্তব্যপালনে অবিচল ছিলেন, তার জন্য প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি৷
অন্য খবর দেখুন