Wednesday, June 11, 2025
HomeScrollডোমজুড়ে সোনার দোকানে ডাকাতির কিনারা, ধরা পড়ল বিহারের চাচি
Howrah Robbery

ডোমজুড়ে সোনার দোকানে ডাকাতির কিনারা, ধরা পড়ল বিহারের চাচি

ডাকাতির মূল চক্রী আশা মাহাত ওরফে চাচি, একাধিক ঘটনায় জড়িত

Follow Us :

কলকাতা: আর পাঁচটা গৃহবধূর মতো সে দেখতে একেবারে ছাপোষা। কিন্তু তার যে এত কীর্তি, কে জানত। বাংলার বুকে একের পর এক ডাকাতির ঘটনার সেই নাকি মূল চক্রী! সেই নাকি গোটা প্ল্যান ছকে দিত। তার প্ল্যান মোতাবেক চলত ডাকাতি। এমনকী বিহারের গ্যাংস্টার সুবোধ সিংয়ের দলের হয়েও কাজ করেছে সে। পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পেরেছে ডোমজুড়ে সোনার দোকানে ভয়াবহ ডাকাতির ( Robbery Domjur Howrah) ঘটনায় মূলচক্রী ‘বিহারের চাচি’। বৃহস্পতিবার তাকে ট্রানজ়িট রিমান্ডে হাওড়ায় নিয়ে এসেছেন হাওড়া সিটি পুলিশের (Howrah City Police) গোয়েন্দারা। 

বিহারের বেউর জেল থেকে সুবোধকে রাজ্যে এনে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে সিআইডি। তদন্তকারীরা মনে করছিলেন, এবার ডোমজুড়ের ডাকাতির কিনারা করা সম্ভব হবে। সুবোধের সঙ্গী বিকাশের খোঁজে তাঁর ‘শাগরেদ’ রবীন্দ্র সাহানিকেও বিহার থেকে গ্রেফতার করে হাওড়া পুলিশ। তদন্তকারীদের সূত্রে খবর, ধৃতদের জেরা করেই চাচির নাম উঠে আসে। তার পর খোঁজখবর করে জানা যায়, এককালে সুবোধের গ্যাংয়ে মণীশ মাহাত ওরফে ‘মুনিয়া’ নামে এক সদস্য ছিল। বিহারের বাসিন্দা ‘চাচি’ মণীশের দলেই ছিল। পরে তাকে তাড়িয়ে দেয় মণীশ। আশা মাহাত (Asha Mahato Resident Bihar Arrested) ওরফে চাচি কিছুদিন পর নিজেই একটি দল তৈরি করে।  

আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর শিলিগুড়ির বিভিন্ন বাজারে হানা টাস্ক ফোর্সের

হাওড়া সিটি পুলিশের কমিশনার প্রবীণ কুমার ত্রিপাঠী জানিয়েছেন, চাচির পরিচয় চাচি ৪২০ হিসেবে। ডোমজুড়ের সোনার দোকানে ডাকাতিতে সব ধরনের লজিস্টিক সাপোর্টের ব্যবস্থা করেছিল সে। ডাকাতির আগে সেই জায়গায় রেকি করত চাচি। তাকে দেখে এমনিতে কারও সন্দেহই হবে না। দেখতে একেবারে দেহাতি বধূর মতো। সেই সুযোগে এলাকার খুঁটিনাটি খবর জোগাড় করে নিত। ডাকাতদের জন্য সে থাকার বন্দোবস্ত করে দিত। এছাড়াও সে পুরনো বাইক কেনার বন্দোবস্ত করে। যে বাইকগুলো রেকি এবং অপারেশনের সময় ব্যবহার করা হয়। সোনার দোকানে লুঠের পর গয়না নিয়ে কীভাবে পালাতে হবে সেই পরিকল্পনাও সেই করত। আর সবটাই সে নিয়ন্ত্রণ করত বিহারে বসে। এর জন্য সে মোটা টাকাও পেত।

গত মাসে চার সশস্ত্র দুষ্কৃতীর একটি দল ডোমজুড়ের একটি সোনার দোকানে ঢোকে। তার পর বন্দুকের কুঁদো দিয়ে মারধর করে, কর্মীদের বেঁধে লুটপাট চালায় তারা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ডাকাতির পর দলটি একাধিক বার ট্রেন বদলে বিহার পালিয়ে গিয়েছিল। তদন্তে নেমে পুলিশ চাচি-সহ মোট পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে। 

 দেখুন ভিডিও

RELATED ARTICLES

Most Popular