নয়াদিল্লি: দেশের প্রত্যেক আদালতে পুরুষ (Man), মহিলা (Women), বিশেষভাবে সক্ষম (Differently-Abled) ও রূপান্তরকামীদের (Transgenders) জন্য আলাদা আলাদা শৌচালয় নিশ্চিত করতে হবে, বুধবার এক জনস্বার্থ মামলায় (Public interest litigation) এমনটাই নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। সব হাই কোর্ট, রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সরকারকে এ বিষয়ে পদক্ষেপের করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
জনস্বার্থ সংক্রান্ত মামলায় বিচারপতি জেবি পার্দিওয়ালা এবং বিচারপতি আর মহাদেবনের বেঞ্চ জানিয়েছে, পর্যাপ্ত সংখ্যায় শৌচালয় নির্মাণ হলে মহিলা ও রূপান্তরকামীদের গোপনীয়তা রক্ষা করা হবে। তাদের মধ্যেও উদ্বেগ দূর হবে। শীর্ষ আদালত প্রত্যেক হাই কোর্টকে নির্দেশ দিয়েছে, আদালত চত্বরে এই ব্যবস্থা রয়েছে কি না, সে দিকে নজর রাখার জন্য।
আরও পড়ুন: লড়াই শেষ ! যুদ্ধ বিরতির ঘোষণা ইজরাইল ও হামাসের
আদালত চত্বরে ওই শৌচালয়গুলি বিচারক, আইনজীবী, মামলাকারী এবং অন্য আদালতকর্মীরা ঠিক মতো ব্যবহার করতে পারছে কিনা, তাও দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে হাইকোর্টগুলিকে। এর জন্য প্রতিটি হাইকোর্টে একটি করে কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সংশ্লিষ্ট হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির মনোনীত কোনও বিচারপতি হবেন ওই কমিটির প্রধান।
এ ছাড়া কমিটিতে থাকবেন হাই কোর্টের রেজিস্ট্রার, রাজ্যের মুখ্যসচিব, পূর্তসচিব, অর্থসচিব, বার অ্যাসোসিয়েশনের একজন প্রতিনিধি এবং অন্য আধিকারিকরা। ছয় সপ্তাহের মধ্যেই প্রত্যেক হাই কোর্টে এই কমিটিগুলি গঠন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট কিভাবে এই কমিটিগুলি কাজ করবে, তারও নির্দেশিকা জানিয়ে দিয়েছে। প্রতিদিন গড়ে কত জন আদালতে আসেন তার উপর ভিত্তি করে শৌচালয় তৈরির বিষয়ে পরিকল্পনা করতে হবে।
পর্যাপ্ত সংখ্যক শৌচালয় নির্মিত হচ্ছে কি না, তার পর্যবেক্ষণ ঠিকভাবে হচ্ছে কিনা তাও খতিয়ে দেখতে হবে কমিটিকে। এই শৌচালয় নির্মাণ, রক্ষণাবেক্ষণ এবং পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সরকারগুলিকে পর্যাপ্ত টাকা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে নির্দিষ্ট সময় অন্তর টাকার অঙ্ক পর্যালোচনা করতে হবে। চার সপ্তাহের মধ্যেই প্রত্যেক হাই কোর্ট, রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে এই বিষয়ে স্টেটাস রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
দেখুন অন্য খবর-