ওয়েব ডেস্ক: সড়কপথে হ্যাপা কমিয়ে আরও বেশি পর্যটক টানতে গত বছরই বাগডোগরা (bagdogra) থেকে গ্যাংটক (Gangtok) পর্যন্ত ২৩ আসনের হেলিকপ্টার (helicopter) পরিষেবা চালু করে সিকিম সরকার। কিন্তু পর্যটক মহলে তেমন সাড়া মেলেনি । অন্যদিকে, বড় আকার হওয়ায় পর্যটন কেন্দ্রে নামতেও পারেনি। আশা ছিল কপ্টার পরিষেবার জন্য খুবই কম সময়ে বাগডোগরা থেকে গ্যাংটকে পৌঁছে যাওয়া সম্ভব দেখে পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়বে। কিন্তু সেটা হয়নি। তবে এবার ১০ আসনের কপ্টার পরিষেবা শুরু করতে চলেছে সিকিম সরকার। জানা গিয়েছে, পুজোর আগেই শুরু হবে এই পরিষেবা।
গত বছর ৬ মার্চ সিকিম সরকার বাগডোগরা থেকে গ্যাংটক পর্যন্ত ২৩ আসনের এমআই ১৭২ হেলিকপ্টার পরিষেবা চালু করেছিল। কিন্তু তা সফল হয়নি। বিমান চলাচল দফতরের আধিকারীকরা জানাচ্ছেন, এক বছরেরও বেশি সময় ধরে এমআই-১৭২ হেলিকপ্টার পরিষেবা চললেও যাতায়াতের পথে ১১-১২ জনের বেশি যাত্রী হয়নি। অনেক সময় মাত্র ৫-৬ জন যাত্রী নিয়ে হেলিকপ্টার চালাতে হয়েছে। এছাড়াও এমআই-১৭২ হেলিকপ্টারের আকার এতটাই বড় যে সিকিমের ১১টি হেলিপ্যাডের বেশিরভাগ জায়গায় নামতে পারেনি।যার জেরে পর্যটকদের লাচুং, লাচেনে উড়িয়ে নেওয়া সম্ভব হয়নি। এরফলেও যাত্রী সংখ্যা কমে গিয়েছে।
আরও পড়ুন : বানারহাটে ফের চিতাবাঘের হামলা! আহত ৪ চা শ্রমিক
সিকিমের পর্যটন ও বেসামরিক বিমান চলাচল দপ্তরের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব সিএস রাও জানান, “একে বড় হেলিকপ্টার। খরচ বেশি। প্রতিটি পর্যটন কেন্দ্র বিশেষ করে উত্তর সিকিমে পর্যটকদের নামানো সম্ভব হয়নি। তার উপর যাত্রী সংখ্যা কম। ওই কারণে এমআই-১৭২ হেলিকপ্টার বাতিল করে বাগডোগরা-সিকিম রুটে ১০ আসনের ছোট হেলিকপ্টার চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।”
জানা গিয়েছে গত বছর এই এমআই-১৭২ হেলিকপ্টার পরিষেবা চালু করে লোকসান হয়েছে প্রায় ২০ কোটি টাকা।কিন্তু বেশ কিছু কারণে পরিষেবা মিলছিল না প্রায় সময়ই। হতাশ হচ্ছিলেন পর্যটকেরা। তাই পুজোর আগেই ১০ আসনের হেলিকপ্টার পরিষেবা চালু হয়ে যাবে বলে জানা গিয়েছে। তবে এবার নতুন চুক্তি স্বাক্ষরের আগে একাধিক সংস্থার সঙ্গে কথা বলছেন সিকিম সরকারের কর্তারা। পরিষেবা নিয়মিত রাখা, পর্যটকদের নিরাপত্তা সহ বিভিন্ন বিষয়গুলি ইতিমধ্যেই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
দেখুন অন্য খবর