ওয়েবডেস্ক- একটা সময় ছিল, যখন সিনেমার (Cinema) মাঝে ইন্টারভ্যালের বেল বাজত। আর ঝপ করে আলো জ্বলে উঠত। অন্ধকার করে রাখা প্রেক্ষাগৃহ এক মিনিটেই ঝলঝল করে উঠত। দর্শকদের পাশে ট্রে-এর মধ্যে চিপস, ঠান্ডা পানীয়, পপর্কণ, আইসক্রিম নিয়ে ঘুরে বেড়াতেন হকাররা।
তবে বর্তমানে প্রেক্ষাগৃহের জায়গায় এসেছে ঝাঁ চকচকে মাল্টিপ্লেক্স (Multiplex) । দর্শকদের পাশে ট্রে হাতে করে ঘোরার রেওয়াজ মাল্টিপ্লেক্স-এ নেই। তার বদলে মাল্টিপ্লেক্স-এর বাইরের কাউন্টার থেকে বেশ চড়া দামে আপনাকে কিনতে হবে পানীয় জল, পপর্কণ থেকে প্যাটিস সব কিছুই। মাল্টিপ্লেক্স-এ সাধারণ পপকর্ণের দাম পাঁচশো টাকার বেশি, আর যদি ক্যারামেল বা চিজ দেওয়া থাকে তাহলে তো আর কথাই নেই। কড়কড়ে সাতশো টাকা খসবে আপনার পকেট থেকে। কিন্তু প্রেক্ষাগৃহের বাইরে ঠান্ডা পানীয় আপনি পেয়ে যাবেন ৫০ টাকায় সেখানে মাল্টিপ্লেস্কের কাউন্টারে ১০০ টাকা। এই নিয়ে সিনেমাপ্রেমীদের দীর্ঘদিনে ক্ষোভ। সেই ক্ষোভে তারা উগরে দিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। তবে লাভ হয়নি।
এবার এই সব মাল্টিপ্লেক্সগুলির রাশ টেনে ধরল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। পাল্টা মাল্টিপ্লেক্সের মালিকেরাও শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। এদিন মাল্টিপ্লেক্সে চা-কফির মতো নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর চড়া দামের এই মামলার শুনানি হয় সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি বিক্রম নাথ ও বিচারপতি সন্দীপ মেহতার বেঞ্চে।
ইতিমধ্যেই কর্নাটক সরকার (Karnatak Government) এই মাত্রাছাড়া মূল্য রুখতে পদক্ষেপ নিয়েছে। সরকারের নির্দেশ কোনও মাল্টিপ্লেক্সেই টিকিটের দাম ২০০ টাকার বেশি রাখা যাবে না। সেই নির্দেশে অবশ্য শর্তসাপেক্ষে স্থগিতাদেশ জারি করেছে।
অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়ার তরফে আইনজীবী মুকুল রোহতোগী বলেন, তাজ কফির দাম নেয় হাজার টাকা। এটা কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব? এটা তো তাদের পছন্দের ব্যাপার।
আরও পড়ুন- ভোট চুরিতে রাহুলের দেখানো ব্রাজিলিয়ান মডেল কে? কী তার পরিচয়?
বিচারপতি বিক্রম নাথ বলেন, এটি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এমনিতেই এখন সিনেমা দেখতে মানুষ কম আসে, দাম কমান, না হলে এবার হল খালি হয়ে যাবে।
আইনজীবী মুকুল রোহিতোগী বলেন, তা হলে খালি হয়ে যাক। এই দাম মাল্টিপ্লেস্কের জন্য। চাইলে তারা সাধারণ হলে যেতে পারেন। মাল্টিপ্লেস্কে আসার প্রয়োজন নেই।
বিচারপতি বলেন, আর কোনও সাধারণ হল অবশিষ্ট নেই। শুনানি শেষে কর্নাটকের সরকারের সিদ্ধান্ত বহাল রাখে সুপ্রিম কোর্ট।
দেখুন আরও খবর-







