কলকাতা: মুকুল রায়ের (Mukul Roy) বিধায়ক পদ খারিজের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court)। সংবিধানের ১০ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী দল পরিবর্তন করলে তার বিধায়ক পদ খারিজ হয়। সেই বিষয়টি নিয়েই বিধানসভার অধ্যক্ষের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিল শুভেন্দু অধিকারী। মুকুল রায় বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগদান করেন। বিধানসভার স্পিকার সেই আবেদন খারিজ করে দিয়ে মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ বহাল রাখেন। স্পিকারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু অধিকারীর আবেদন মঞ্জুর করে স্পিকারের সিদ্ধান্তকে খারিজ করল কলকাতা হাইকোর্টএর বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি মোহাম্মদ সাব্বাক রশিদী ডিভিশন বেঞ্চ।
২০২১ সালে কৃষ্ণনগর উত্তর কেন্দ্র থেকে বিজেপির টিকিটে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন মুকুল। জিতে বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন। বিজেপি-র টিকিটে জিতে পরে তৃণমূলে যোগ দেন মুকুল। তৃণমূলে যোগ দিলেও মুকুল খাতায়কলমে বিজেপি বিধায়ক হয়েই থেকে গিয়েছিলেন। বিধানসভা স্পিকারের কাছে বিজেপি অভিযোগ জানালে, স্পিকার জানিয়ে দিয়েছিলেন, মুকুল বিজেপিতেই আছেন। তাই তাঁর পদ খারিজ করা যাবে না। এমনকি, তাঁকে পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির (পিএসি) চেয়ারম্যানও করা হয়েছিল। সেই নিয়ে মামলা করেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)-সহ বিজেপি নেতৃত্ব। আর তাতেই মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজ হল। মুকুল কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক ছিলেন। তাঁর পদ খারিজ হওয়ায় ওই আসন খালি হয়ে গেল। তবে ওই আসনে এই মুহূর্তে নতুন করে আর উপনির্বাচন হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ ২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচন আসন্ন।
আরও পড়ুন: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে জারি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, কোন কোন পদে নিয়োগ?
হাইকোর্টের রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। একে ‘সংবিধানের জয়’ বলে উল্লেখ করেছেন। তাঁর কথায়, ‘‘দেশের সংবিধান জিতেছে। বিধানসভার তৃণমূলের অধ্যক্ষ এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরাজয় হয়েছে। আবার প্রমাণ হল, বিজেপি সংবিধান রক্ষার জন্য লড়াই করে।
দেখুন ভিডিও







