কোচবিহার: শুক্রবার কোচবিহার থেকে শুরু হল ডিওয়াইএফের ইনসাফ যাত্রা। সংগঠনের সাদা পতাকার পাশাপাশি জাতীয় পতাকা কাঁধে নিয়ে হাঁটা শুরু করলেন বাম যুব সংগঠনের কর্মীরা। এর আগে কখনও সিপিএমের যুব কর্মীদের এভাবে জাতীয় পতাকা নিয়ে হাঁটতে দেখা যায়নি। যাত্রার সূচনা করার জন্য বৃহস্পতিবারই কোচবিহার পৌঁছে যান সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় ছাড়াও ধ্রুবজ্যোতি সাহা, কলতান দাশগুপ্তের মতো নেতারা।
এদিন বেলা ১১ নাগাদ ইনসাফ যাত্রার উদ্বোধন করেন মীনাক্ষী। তিনি জানান, ২ মাস ধরে এই যাত্রা ২২ টি জেলার প্রায় ২০০০ কিলোমিটার পথ পরিক্রমা করে কলকাতায় পৌঁছবে। ৭ জানুয়ারি কলকাতার ব্রিগেড প্যারেড ময়দানে যুবকদের চাকরি দাবি-সহ তৃণমূল এবং বিজেপির দুর্নীতির প্রতিবাদে সভা হবে। বহু বছর পর সিপিএমের যুব সংগঠন একক শক্তিতে বিগ্রেড প্যারেড ময়দানে সভা করতে চলেছে। গত এক মাস ধরে জেলায় জেলায় ইনসাফ যাত্রার প্রস্তুতি চালিয়েছেন বাম যুবনেতা কর্মীরা। মীনাক্ষী জানান, বিভিন্ন জেলায় প্রতিটি বাড়িতে একটি করে কৌটো পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। সেই কৌটোয় অর্থ সংগ্রহ করা হবে। ওই টাকাতেই হবে ব্রিগেড সমাবেশ।
আরও পড়ুন: প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতিকে গ্রেফতার নয়, জানাল সুপ্রিম কোর্ট
এদিন যাত্রার সূচনা করে মীনাক্ষী রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, আমরা যাঁদের ভোট দিয়েছি, ট্যাক্সের টাকা দিয়েছি, সেই টাকা তাঁদের খাটের তলায় পাওয়া গিয়েছে। পরিযায়ী শ্রমিকদের রক্ত ঘামের টাকা মন্ত্রীর বান্ধবীর বাড়িতে গাড়ি করে পৌঁছে গিয়েছে। সেই সব অসহায় মানুষের জন্য আমাদের ইনসাফ যাত্রায় নামতে হয়েছে। যুবনেত্রী বলেন, রাজ্য এবং কেন্দ্রের দুই সরকারই আদতে একই মুদ্রার দুই পিঠ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যেমন যুবসমাজকে চাকরির মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও তেমনি ভাওতাবাজি**** চালান। দুই সরকারের বিরুদ্ধে বাংলার যুবসমাজের সংগ্রাম চলবে।
কোচবিহার থেকে ইনসাফযাত্রা হবে আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং পেরিয়ে মালদহ, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, বর্ধমান হয়ে আগামী ২২ ডিসেম্বর কলকাতায় শেষ হবে। মোট ২২ টি জেলায় ১০০০ সভা করবে যুবসংগঠন।