মুর্শিদাবাদ: আচমকাই ধস নেমেছে। সেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতা নিজের বন্ধুকে ফোন করেও শুনিয়েছিলেন গোর্খা টেরিটরিয়াল আর্মির জাওয়ান প্রীতমকুমার দত্ত। কথা বলেছিলেন মায়ের সঙ্গেও। কিন্তু তার পর থেকেই নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন।
চার দিন নিখোঁজ থাকার পর রবিবার বিকালে গ্রামের বাড়িতে এসে পৌঁছল প্রীতমকুমারের মৃত্যু সংবাদ। কর্তব্যরত অবস্থায় ২৯ জুন বুধবার রাত থেকে মণিপুরে ধসে নিখোঁজ ছিলেন প্রীতম। চার দিন টানা উদ্ধার কার্য চালানোর পর রবিবার দুপুরে তাঁর নিথর দেহ উদ্ধার করে সেনাবাহিনী।
বুধবার গভীর রাতে মণিপুরের টুপুলে নির্মীয়মাণ রেল স্টেশনের কাছে ব্যাপক ধস নামে। সেখানেই কাজ করছিলেন ভারতীয় সেনা বাহিনীর ১০৭ নম্নর ব্যাটেলিয়নের টেরিটোরিয়াল আর্মির সদস্যরা। ধসের কারণে আটকে পড়েন বেশ কয়েকজন জওয়ান। শুক্রবার পর্যন্ত ১৮ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব হলেও, এই ঘটনায় মোট ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে দার্জিলিঙয়েরই ৯ জন। নিখোঁজ ছিলেন বাংলার একাধিক জওয়ান।
আরও পড়ুন- Manipur Landslide: মণিপুর ধসে মৃত জওয়ান মহিউদ্দিনের দেহ ফিরছে বসিরহাটের গ্রামে
পরিবার সূত্রের খবর, শুক্রবার রাত সাড়ে আটটায় তাঁর মা সোমা দত্তর সঙ্গে শেষ কথা হয়েছিল। মায়ের সঙ্গে কথা বলার পরেই ডিউটি জয়েন করে প্রীতম। ঘটনার সময় এক বন্ধুর সঙ্গে ফোনে কথা বলছিলেন প্রীতম। চোখের সামনেই ঘটা ধসের কথা জানিয়েছিলেন তাঁকে। তার পর থেকেই খোঁজ নেই প্রীতমের, বন্ধ ছিল তাঁর মোবাইল ফোন। টানা চার দিন ধরে ছেলেকে ফিরে পাওয়ার আশায় বুক বেঁধেছিল পরিবার।