ব্যারাকপুর: পানিহাটি পুরসভার (Panihati Tmc Councillor) তৃণমূল কাউন্সিলর খুনের (TMC Councillor Anupam Dutta) তদন্ত শুরু করল সিআইডি৷ সোমবার পাঁচ সদস্যের সিআইডি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছন৷ স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি ঘটনাস্থলের পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ নেন তাঁরা৷ পুলিস ও মৃত কাউন্সিলরের পরিবার ও অনুগামীদের সঙ্গে কথা বলেন বলে খবর৷ এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেন ও স্থানীয় দোকানদার সঙ্গে কথা বলেন৷
রবিবার রাতে পানিহাটিতে তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর অনুপম দত্ত খুন হন৷ এই খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত শম্ভু ওরফে অমিত পণ্ডিতকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। নদিয়ার হরিণঘাটা থানার মোল্লাবেলিয়া মনসাতলার বাসিন্দা পেশায় গাড়িচালক অমিত। ২০২১-এর ২৪ ডিসেম্বর তার এক বন্ধুকে গুলি করার অভিযোগ ওঠে অমিতের বিরুদ্ধে। তখন থেকে সে পলাতক ছিল। কিন্তু খুনের পিছনে কী কারণ থাকতে পারে ? সেই সত্য উদ্ঘাটনে পুলিস সমস্ত তথ্য খতিয়ে দেখছে।
যদিও এই খুনের ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়ে গিয়েছে। তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিম এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন। তাঁর অভিযোগ, পানিহাটি বরাবরই অশান্তিপ্রবণ এলাকা। এখানে বাইরে থেকে অনেক লোক এসে খুন করে চলে যায়। তবে এইভাবে খুনের রাজনীতি চালিয়ে তৃণমূলের শক্তিক্ষয় করা যাবে না। পানিহাটির বিধায়ক তথা জেলা তৃণমূল নেতা নির্মল ঘোষ অভিযোগ তুলেছেন সুপারি কিলার দিয়ে খুন করা হয়েছে অনুপম দত্তকে। তার দাবি, অনুপম অত্যন্ত ভালো ছেলে। এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে বিরোধী দলের নেতৃত্বে অনৈতিক কাজ-কারবার চলছিল। আর তাতে বাধা সৃষ্টি করছিল অনুপম। যে কারণে দুষ্কৃতীদের টার্গেট হয়ে উঠেছিল সে। তাই তাকে সরানোর চক্রান্ত করেছে দুষ্কৃতীরা।
তৃণমূলের এই দাবি অস্বীকার করে বিজেপি বলেছে, এটা শাসক দলের অন্তর্দ্বন্দ্বের ফল। এর সঙ্গে বিজেপির কেউ জড়িত নেই। এলাকায় অনৈতিক কাজকর্ম যদি কিছু ঘটে থাকে তার সঙ্গে তৃণমূলের লোকজনই জড়িত, এটা সাধারণ মানুষও জানেন। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার তো বলেই দিয়েছেন, ভোট পরবর্তী হিংসা কোন স্তরে গিয়েছে, তা বোঝা যাচ্ছে একই দিনে দুই কাউন্সিলর খুনের ঘটনায়। এ রাজ্যে জনপ্রতিনিধিদের নিরাপত্তাই যখন নেই, তখন সাধারণ মানুষের অবস্থা কী তা সহজেই অনুমান করা যায়।
আরও পড়ুন-Shatrughan Sinha: শত্রুঘ্ন সিনহা ‘বহিরাগত’ বিতর্ক! দিলীপ ঘোষের কটাক্ষের জবাব দিলেন ফিরহাদ হাকিম
রাজনৈতিক দোষারোপের পালা চললেও পুলিসের একাংশের ধারণা, যেভাবে খুন করা হয়েছে তাতে মনে করা হচ্ছে ব্যক্তিগত আক্রোশের ফলেই এই কাজ করেছে দুষ্কৃতী। তাকে হেফাজতে নিয়ে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করলে রহস্য পরিষ্কার হবে।