হাওড়া: জঙ্গি সন্দেহে হাওড়ার বাঁকড়া থেকে এক যুবককে গ্রেফতার করল রাজ্য পুলিসের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (STF)। ধৃতের নাম আমিরুদ্দিন আনসারি। এসটিএফের দাবি, আমিরুদ্দিনের বিরুদ্ধে দেশের উত্তরপূর্বে একাধিক নাশকতার অভিযোগ রয়েছে। বাংলাদেশের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন ‘জামাত-উল মুজাহিদিন বাংলাদেশ’ (JMB)-এর সঙ্গে তার যোগাযোগ রয়েছে বলেও দাবি করা হচ্ছে।
সূত্রের খবর, ১৪ মার্চ রাতেই হাওড়া ডোমজুড় থানা এলাকার বাঁকড়া থেকে আমিরুদ্দিন আনসারিকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায় এসটিএফের একটি দল। বুধবার অভিযুক্তকে আদালতে পেশ করে হেফাজতে নেওয়া হয়। রাজ্যে লুকিয়ে থাকা জেএমবি-র বাকি সদস্যদের হদিশ পেতে আমিরুদ্দিনকে হেফাজতে নিয়ে জেরা শুরু করেছেন এসটিএফের আধিকারিকরা। মোবাইল ফোনের কললিস্ট পরীক্ষা করেও দেখা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, আমিরুলের মূল বাড়ি পুরুলিয়াতে হলেও বেশ কয়েক বছর ধরে হাওড়ার বাঁকড়া এলাকায় সে থাকছিল।
চলতি মার্চের শুরুতে অসম পুলিসের জালে ধরা পড়ে পাঁচ জঙ্গি। ধৃতরা সকলেই বাংলাদেশি। সেই সূত্রেই আমিরুদ্দিন আনসারির নাম সামনে আসে। অসম পুলিসের কাছ থেকে খবর পেয়ে ডোমজুড় থানার বাঁকড়ায় অভিযান চালায় এসটিএফ। ধরা পড়ে যায় আমিরুদ্দিন।
অসম ধরা পড়া জঙ্গিদের জেরা করে জানা যায়, আমিরুদ্দিন আনসারির মূল দায়িত্ব ছিল বাংলাদেশি জঙ্গিদের এ রাজ্যে আশ্রয় দেওয়া। তাকে গ্রেফতার করার আগে টানা কয়েক দিন নজরেও রাখা হয়েছিল। শেষপর্যন্ত মঙ্গলবার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়।
এলাকার লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এসটিএফের তদন্তকারী আধিকারিকরা জানতে পারেন, আমিরুদ্দিন আনসারির বাঁকড়ার বাড়িতে অপরিচিত লোকজনের আনাগোনা ছিল। তবে, তার চলাফেরা বা আচারআচরণ দেখে প্রতিবেশীদের মনে কখনও সন্দেহ দানা বাঁধেনি। পড়শিদের সঙ্গে খুব একটা মেলামেশাও সে করত না।
। ধৃতের নাম আমিরুদ্দিন আনসারি। এসটিএফের দাবি, আমিরুদ্দিনের বিরুদ্ধে দেশের উত্তরপূর্বে একাধিক নাশকতার অভিযোগ রয়েছে। বাংলাদেশের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন 'জামাত-উল মুজাহিদিন বাংলাদেশ' (JMB)-এর সঙ্গে তার যোগাযোগ রয়েছে বলেও দাবি করা হচ্ছে।){kind=link}