চুঁচুড়া: ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নেই। তাই টাকা থাকার প্রশ্নও নেই। অথচ ব্যক্তির নামে লক্ষাধিক টাকার লেনদেন হচ্ছে। এমনকি লেনদেনের মেসেজ ঢুকছে ব্যক্তির মোবাইলে। হুগলির চাঞ্চল্যকর এই ঘটনায় শোরগোল পড়েছে ধনিয়াখালি থানার এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রের খবর, ভান্ডারহাটি দু’নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের চীনা গ্রামে একটি আদিবাসী পাড়ার প্রায় ১০ থেকে ১২ জনের মোবাইলে বেশ কয়েকদিন ধরেই এই লেনদেন চলছে। কোনও দিন এক লক্ষ টাকার মেসেজ আসছে। তো আবার দু-তিন দিন পরে সেই টাকা তুলে নেওয়ার মেসেজ ঢুকছে মোবাইলে। কিন্তু লেনদেনের বিষয়ে কিছুই জানা নেই অ্যাকাউন্ট হোল্ডারের। যা নিয়ে রীতিমতো আতঙ্কিত গ্রামবাসীরা।
আরও পড়ুন বিষ কাণ্ডে আরও কড়া রাজ্য, জেলা প্রশাসনকে চিঠি দিয়ে সতর্কতা জারি
এ বিষয়ে অ্যাকাউন্ট হোল্ডার বা ওই গ্রামবাসীদের দাবি, তাঁদের কারোরই লেনদেন হওয়া বেসরকারি ব্যাঙ্কটিতে কোনও অ্যাকাউন্টই নেই। এমনকি তাঁরা কোনও দিন সেই শাখায় কোন একাউন্ট খোলার জন্যও যাননি।
তাই এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে তাঁদের একটাই প্রশ্ন তাহলে অ্যাকাউন্ট খুলল কে বা কারা? এ বিষয়ে তাঁরা আরও অভিযোগ জানিয়েছেন। বলেছেন ব্যাঙ্কের ডিটেলস সহ কোনও পাসবুক তাঁরা পাননি। তার বদলে তাঁদের কাছে পৌঁছেছে ওই শাখার চেকবুক। যা নিয়ে আরও সন্দেহ বাড়ছে।
আরও পড়ুন দলের নাম ভাঙ্গিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকার প্রতারণা, পুলিশের জালে তৃণমূল নেতা
মাসখানেক আগেই ওই কয়েকজনের বাড়িতে পোষ্টের মাধ্যমে পৌঁছায় চেকবুক গুলি। তার দুদিন পর থেকেই মোবাইল নম্বরে টাকা লেনদেনের ম্যাসেজ আসতে থাকে। শুধুমাত্র তাই নয় লেনদেনের টাকার পরিমান তাঁদের আয়ের থেকে শতগুণ বেশি। যা দেখে তাঁদের চক্ষু চড়কগাছ।
তাঁদের একাংশের দাবি এত টাকা লেনদেনের মতন ক্ষমতা তাদের নেই। কেউ দিন মজুর তো কেউ অন্যের জমিতে শ্রমিকের কাজ করেন । আবার কারোর কোনও জমিও নেই। এইরকম পরিস্থিতি দাঁড়িয়ে লক্ষাধিক টাকার লেনদেন সত্যি আশ্চর্যকর।তাই নিয়ে প্রশ্ন ওঠছে তাঁদের মনে। কিভাবে হল বা কারা করল তাদের এই ব্যাঙ্ক একাউন্ট বা এই লক্ষাধিক টাকার লেনদেন এ বিষয়ে কোনও কূলকিনারা করতে পারছেন না তাঁরা। তাই তাঁদের নামে যে লেনদেন হচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে, এই ঘটনায় তাঁরা অভিযোগ জানিয়েছেন স্থানীয় প্রশাসনে।
আরও পড়ুন ভেঙে পড়ল সেতু, দেরাদুন থেকে হৃষিকেশে যান চলাচল বিপর্যস্ত
বেসরকারি ব্যাঙ্কটিতে এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে তাঁরা বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন বলেই জানিয়েছেন। তাঁদের নথি ব্যবহার করে যে লেনদেন তাতে যে কোনও দিন ফেঁসে যেতে পারেন বলে আশঙ্কা গ্রামবাসীদের।