ওয়েব ডেস্ক: কয়েকদিন আগেই আদানি গোষ্ঠীর থেকে ফের বিদ্যুৎ কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করেছিল বাংলাদেশের (Bangladesh) অন্তর্বর্তী সরকার। তবে দাম কমিয়ে বিদ্যুৎ কিনতে ইচ্ছুক ছিল ইউনুস প্রশাসন। তবে মহম্মদ ইউনুসের (Mohammed Yunus) এই শর্তে সায় দেয়নি আদানি পাওয়ার (Adani Power)। আগের দামেই ঝাড়খণ্ড প্লান্ট থেকে বাংলাদেশে ১,৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করার বিষয়ে আগ্রহ দেখিয়েছে গৌতম আদানির (Gautam Adani) মালিকানাধীন এই সংস্থা।
বিদ্যুৎ সরবরাহ পুনরায় চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও, বিপিডিবির দাবি করা মূল্যছাড় ও অন্যান্য সুবিধা দিতে নারাজ আদানি পাওয়ার। এসব ছাড় ও সুবিধার কারণে আদানির সম্ভাব্য ক্ষতির পরিমাণ কয়েক মিলিয়ন ডলার হতে পারত বলে ধারণা করা হচ্ছে। বাংলাদেশ সরকার আদানির কাছে আনুমানিক ৬৫০ মিলিয়ন ডলার ঋণী থাকলেও, আদানি পাওয়ারের অভ্যন্তরীণ হিসাব অনুযায়ী বকেয়ার পরিমাণ ৯০০ মিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: ইউনুসের নিশানায় ভারতীয় মনীষীরা! রাতারাতি একাধিক রদবদল
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে স্বাক্ষরিত ২৫ বছরের বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তির আওতায় পরিচালিত ঝাড়খণ্ডের ২ বিলিয়ন ডলারের এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি গত ৩১ অক্টোবর থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ সীমিত করে। এর মূল কারণ ছিল বাংলাদেশ সরকারের বকেয়া পরিশোধে বিলম্ব। গত ১ নভেম্বর থেকে কেন্দ্রটির কার্যক্রম ন্যূনতম স্তরে চলে আসে। একটি ইউনিট বন্ধ রাখা হয় এবং পুরো সরবরাহ পুনরায় চালুর কোনো নির্ধারিত সময়সীমা তখনও নিশ্চিত করা হয়নি।
আদানি পাওয়ার গত ২৭ অক্টোবর বিপিডিবিকে একটি চিঠি পাঠিয়ে জানায় যে, চুক্তির শর্ত অনুসারে যদি বকেয়া পরিশোধ না করা হয়, তবে ৩১ অক্টোবরের পর তারা বিদ্যুৎ সরবরাহ স্থগিত করতে বাধ্য হবে। বাংলাদেশ সরকার গত অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে যথাক্রমে ৯৭ মিলিয়ন ডলার ও ৮৫ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করলেও, বিশাল পরিমাণ বকেয়ার তুলনায় এটি ছিল খুবই সামান্য। আদানি পাওয়ার জানিয়েছে, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাঙ্কের মাধ্যমে ১৭০.০৩ মিলিয়ন ডলারের ঋণপত্র নিশ্চিত করা হয়নি এবং মোট ৮৪৬ মিলিয়ন ডলারের বকেয়া পরিশোধও হয়নি।
দেখুন আরও খবর: