ওয়েব ডেস্ক : নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে সুমাত্রার (Sumatra) উপর থেকে বয়ে গিয়েছে ভয়াবহ ঝড়। সেই সাইক্লোনের (Cyclone) নাম ‘সেন্যার’। প্রথমে কেউ বিপদের আশঙ্কা না করলেও, পরে ঝড়টি যখন সমুদ্র থেকে স্থলে আসে, তখন ব্যপক তাণ্ডব চালায়। ঘূর্ণিঝড়ের কারমে সেখানে ব্যপক বৃষ্টি হয়। যার কারণে রাতারাতি অস্তিত্ব মুছে গিয়েছে বহু গ্রামের (Village)। এর জেরে মৃত্যু হয়েছে বহু মানুষের।
জানা গিয়েছে, সুমাত্রার ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে মৃত্যু হয়েছে ৮৩৬ জনের। নিখোঁজ এখনও ৫১৮ জন। আহতের সংখ্যা পার করেছে ২৭০০-র গণ্ডি। একাধিক গ্রাম সম্পূর্ণভাবে মাটির সঙ্গে মিশে গিয়েছে। এই দুর্যোগের কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞরা জঙ্গল কাটার ক্রমবর্ধমান প্রবণতাকে দায়ী করেছেন। পরিবেশের এমন ক্ষতি এবং এতে প্রভাবিত এলাকার মানুষজনের জীবনে যে বিপদ নেমে এসেছে, তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তারা।
আরও খবর : খাদ্যাভাব, দক্ষিণ আফ্রিকায় ৬০ হাজার পেঙ্গুইনের গণমৃত্যু!
জানা গিয়েছে, স্থানীয় প্রশাসন এবং উদ্ধারকর্মীরা দুর্গত এলাকা থেকে বেঁচে থাকা মানুষদের উদ্ধার এবং পুনর্বাসনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারি স্তরে উদ্যোগ নেওয়া হলেও পরিস্থিতি এখনও উদ্বেগজনক। এই দুর্যোগ আবারও প্রমাণ করল প্রাকৃতিক সম্পদের সুরক্ষা এবং পরিবেশ রক্ষার গুরুত্ব।
বিজ্ঞানীরা সতর্কবার্তা দিয়ে বলছেন, এখনই বন উজাড় বন্ধ না করলে আগামী ৫ বছরের মধ্যেই সুমাত্রার বাকি সব বনও শেষ হয়ে যাবে। যার ফলে প্রতিবছরেই এমন বিপর্যয় হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তাঁরা। ইন্দোনেশিয়া (Indonesia) সরকার ইতিমধ্যে অঞ্চলটিকে জাতীয় জরুরি অবস্থার ঘোষণা করেছে। নতুন করে বনরোপণ, নদীর ধারে বাফার জোন তৈরি এবং ঝুঁকিপূর্ণ গ্রামগুলোকে পুনর্বাসনের কথাও বিবেচনা করা হচ্ছে।
দেখুন অন্য খবর :







