কলকাতা: ফের কলকাতা হাইকোর্টের ভর্ৎসনা মুখে পড়ল কেন্দ্রীয় সরকার। বারুইপুরের বেশ কয়েকজন বাসিন্দা দীর্ঘদিন ধরে ঘরছাড়া। ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে তাঁরা ঘর ছাড়া বলে অভিযোগ উঠেছিল। এদিন জেলার এসপি ১৬ পাতার রিপোর্ট দেন। সেখানে দাবি করা হয়েছে, সকলে ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনার জেরে বাড়ি ছাড়া হননি। এই তালিকার বহু বাসিন্দা কাজের সূত্রে ভিন রাজ্যে কাজের জন্য পাড়ি দিয়েছিন। আদালতের কাছে রাজ্য পুলিশ জানিয়েছে, ঘর ছাড়ার তালিকায় গলদ রয়েছে। যাঁরা বাইরে কাজে গিয়েছেন তাঁদের নামও রাখা হয়েছে তালিকায়।
সোমবার এই মামলা ওঠে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজালাসে। বিচারপতি কেন্দ্রের কাছে রিপোর্ট তলব করলেও, এজলাসে তা জমা পড়ে না এদিন। কেন্দ্রীয় সরকারের কার্যকলাপে বেজায় চটে যান বিচারপতি। এদিন তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার এতও গা-ছাড়া মনোভাব কেন বুঝতে পারছি না, একটা রিপোর্ট দিতে নাকানি চোবানি খাচ্ছে তারা। আগামী ২০ জুন মঙ্গলবার যদি রিপোর্ট না জমা পড়ে, তাহলে এসসি/এসটি কমিশনের চেয়ারম্যানকে দিল্লি থেকে কলকাতায় তলব করব, হুশিয়ারি বিচারপতি মান্থার।
আরও পড়ুন: Panchayat Election 2023 | বাসন্তীতে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, উত্তেজনা
ভোট পরবর্তী হিংসার এই মামলায় এসসি/এসটি ধারা যুক্ত রয়েছে। যাঁরা অত্যাচারিত তাঁদের আর্থিক ক্ষতিপূরণের দায়িত্ব ওই কমিশনের। সোমবার কমিশনের তরফে রিপোর্ট পেশের জন্য দুই সপ্তাহ সময় চাওয়া হয়েছে। আদালত ২০ জুন পর্যন্ত সময় দেয় কমিশনকে।
বিচারপতি মান্থা এদিন বলেন, শুধু এখানেই নয়, পোর্ট ব্লেয়ারের ক্ষেত্রেও কেন্দ্রের এমন গা-ছাড়া মনোভাব দেখছি। হাইকোর্টের অর্ডার মানার প্রয়োজন বোধ করে না কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রের তরফের আইনজীবীকে বিচারপতি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আপনাদের কয়েকজন অফিসারকে দিল্লি থেকে এনে হাজির করালে বুঝতে পারবেন কেমন লাগে। নির্দেশ না মানলে হাইকোর্ট কী করতে পারে তার ধারণা নেই। আবার কিছু অফিসার মনে করেন আদালতের নির্দেশ না মানলেও চলবে।