নয়াদিল্লি: আর্থিকভাবে দুর্বল ক্ষেত্রের মানুষের জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণের বিষয়ে সংবিধান সংশোধনের বৈধতায় মান্যতা দিল সুপ্রিম কোর্ট। পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চের চারজন বিচারপতি আর্থিক অনগ্রসর কোটার বিষয়ে একমত হয়েছেন। আর্থিকভাবে দুর্বল ক্ষেত্রের মানুষের জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণের বিষয়ে সংবিধান সংশোধনের বৈধতা নিয়ে আজ, সোমবার রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট।
সংরক্ষণের বাইরে থাকা নাগরিকের একটা বিরাট অংশই আর্থিকভাবে দুর্বল হওয়া সত্ত্বেও সরকারি চাকরি বা শিক্ষাক্ষেত্রে কোনও সুযোগ পাচ্ছেন না। তাই এ ধরনের নাগরিকদের ইডব্লুএস-এর আওতায় এনে ১০ শতাংশ সংরক্ষণের বিষয়ে ১০৩-তম সংবিধান সংশোধনের ভাবনাচিন্তা হয়। তারই বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে মামলা হয় শীর্ষ আদালতে।
আরও পড়ুন: OPS-NPS: পুরনো পেনশন প্রকল্প ফেরানোর দাবিতে ক্যাবিনেট সচিবকে চিঠি কেন্দ্রীয় কর্মীদের
সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ইউ ইউ ললিত এবং বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরী, এস রবীন্দ্র ভাট, বেলা এম ত্রিবেদি ও জেবি পর্দিওয়ালা ইডব্লুএস কোটার বৈধতা নিয়ে রায় জানালেন। শীর্ষ আদালত এদিন কোটা নিরূপণে সংবিধান অনুমোদিত আর্থিক শর্তাবলি কি মানা হয়েছে, তা ঠিক করে। সংবিধানের মূল কাঠামোর বিরুদ্ধে যাওয়া হয়েছে কিনা তাও জানানোর কথা সুপ্রিম কোর্টের। বিষয়টি এই কারণে তাৎপর্যপূর্ণ এই যে, সংবিধানে নির্দিষ্টভাবে আর্থিকভাবে দুর্বলতার জন্য বিশেষ সুবিধার কথা স্পষ্টভাবে বলা নেই। দ্বিতীয়ত, ১০৩-তম সংশোধনী বলা যায় কিনা, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। কারণ এখানে রাজ্য সরকারগুলিকে বেসরকারি সংস্থাগুলিকেও ভর্তি বা নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে বিশেষ বন্দোবস্তের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। যা সংবিধানের মূল কাঠামোর পরিপন্থী।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর সর্বোচ্চ আদালত তার রায় স্থগিত রেখেছিল। আর্থিকভাবে দুর্বল মানুষের জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণের ফলে অন্য ক্যাটেগরির কোনও সমস্যা হবে না বলে আদালতে কেন্দ্র জানিয়েছিল। কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এজন্য প্রায় ২ লক্ষ ১০ হাজার আসন সৃষ্টি করা হয়েছে বলে সরকারপক্ষ জানিয়েছে। সকলের জন্য আর্থিক সুবিচার আরও জোরাল হবে বলে কেন্দ্রের দাবি।