বসিরহাট: বুধবার সন্ধ্যায় বসিরহাটের মিনাখাঁ থানার চাপালি গ্রাম পঞ্চায়েতের বকচোরা গ্রামে বল ভেবে খেলতে গিয়ে বোমা বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় ৮ বছরের শিশুকন্যা ঝুমা খাতুনের। সেই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ঝুমা খাতুনের মামা তৃণমূল কর্মী আবুল হোসেন গাইনকে গ্রেফতার করেছে মিনাখাঁ থানার পুলিশ। ধৃতকে বৃহস্পতিবার বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হবে। তাকে ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের নেওয়ার আবেদন জানাবে পুলিশ।
কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, কে এই আবুল হোসেন গাইন? গ্রামে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে এক ভয়ানক অপরাধমূলক রেকর্ড রয়েছে এই আবু হোসেন গাইনের। গ্রামবাসীরা জানাচ্ছেন, এর আগেও তার বাড়ি থেকে অস্ত্র উদ্ধার হওয়ায় তাকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। পাশাপাশি বকচোরা বাজার এলাকায় রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জেরে একাধিক বাইক পুড়িয়ে দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন: Shraddha-Aftab Case: শ্রদ্ধাকে কেন খুন করে আফতাব, মনোবিদদের গবেষণা কী বলছে?
গ্রামবাসীরা এও জানাচ্ছেন, তাকে মদত দিচ্ছেন তৃণমূল কংগ্রেসের চাপালি গ্রাম পঞ্চায়েতের অঞ্চল সভাপতি আজিজুল গাজী। তাঁর আশকারাতেই একাধিক অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েছিল আবু হোসেন গায়েন। সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে তৃণমূল কর্মীর বাড়িতেই বোমা ফেটে মৃত্যু হয়েছে শিশুকন্যার। যার ফলে যথেষ্টই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ওই গ্রামে। ঠিক কী কারণে বোমাগুলি মজুত করে রাখা হয়েছিল, তা নিয়েই উঠছে একাধিক প্রশ্ন। তাহলে কি পঞ্চায়েতের আগে রাজনৈতিক সন্ত্রাস ঘটানোই ছিল আবুল হোসেন গাইনের মূল উদ্দেশ্য? যা নিয়েই চিন্তার ভাঁজ পড়েছে শাসক দল ও প্রশাসনের কপালেও। যদিও গ্রামবাসীরা চাইছেন, এই দোষীর যেন অবিলম্বে শাস্তি হয় এবং গ্রামে শান্তি ফিরে আসে।
স্থানীয় সূত্রের খবর, ওই তৃণমূল নেতার বাড়িতে বেড়াতে আসেন তার আত্মীয়স্বজন। তাদের মধ্যে ছিল ঝুমা খাতুনও। বাড়িতেই বিচুলির গাদার মধ্যে বোমা রাখা ছিল। ঝুমা বল ভেবে তা আনতে যায়। তখনই সেটি ফেটে যায় বিকট শব্দ করে। ঝুমা রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। ঘটনাস্থলেই মারা যায় ঝুমা। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে প্রথেম মিনাখাঁ থানায় নিয়ে যায়। সেখান থেকে দেহ পাঠানো হয় মিনাখাঁ হাসপাতালে। এই ঘটনা ঘিরে এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।