তিরুবনন্তপুরম: এক রোগীকে (Patient) চিকিৎসার (Treatment) জন্য আনা হয়েছিল। হাসপাতালে তাঁর ড্রেসিং করাতে গিয়েছিলেন এক মহিলা চিকিৎসক (Female Doctor)। সেই রোগী ড্রেসিং (Dressing) করানোর জন্য ব্যবহৃত কাঁচি নিয়ে চড়াও হল ওই মহিলা চিকিৎসকের উপর। মহিলা চিকিৎসককে রোগীর ছুরি মারার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে কেরলে। ক্ষোভে ফুঁসছে কেরলবাসী। চিকিৎসকরা (Doctors) রাস্তায় নেমে ওই ঘটনায় প্রতিবাদে ফেটে পড়েছেন। বুধবার কোট্টারাক্কারায় তালুক হাসপাতালের (Taluk Hospital) ঘটনা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই যুবকের পায়ে আঘাতে ড্রেসিং করছিলেন ওই চিকিৎসক। সেসময় আচমকাই সেখানে সবাইকে আক্রমণ করতে শুরু করে সে। কাঁচি নিয়ে আক্রমণ শুরু করেন। সন্দীপ (Sandeep) (৪২) নামে ওই অভিযুক্ত ব্যক্তি পুয়াপল্লি চেরুকারাকোনামের বাসিন্দা। পেশায় তিনি শিক্ষক। ঘটনায় ওই চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে। তাঁকে দ্রুত তিরুবনন্তপুরমে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু বাঁচানো যায়নি। পুলিশ জানিয়েছে, ওই যুবকটিরও আঘাতের চিহ্ন ছিল। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তাকে যখন হাসপাতালে আনা হয়েছিল তখন হিংস্র ছিল সে। ঘটনার সময় সে মদ্যপ ছিল। চিকিৎসকের সঙ্গে ওই যুবক একাই ছিল। কারণ সেখানে পুলিশের ঢোকার অনুমতি ছিল না।
অকস্মাৎ সেখানে চিৎকার শোনা যায়। ওই ডাক্তার সাহায্যের জন্য বলছিল। ডাক্তারের পিছু পিছু ওই ব্যক্তিও চলে আসে। তবে কেন সে ডাক্তারকে টার্গেট করল সেটা কারও কাছে পরিষ্কার নয়। পুলিশ অফিসাররা তাকে বাধা দিলে সে পুলিশের উপরও চড়াও হয়। ডাক্তার ছাড়াও তার দ্বারা আরও চার জন জখম হয়। হাসপাতালের বেশ কিছুটা সে ভাঙচুর করেছে। অনেক চেষ্টায় তাকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। এর আগে খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল ধৃতের বিরুদ্ধে। এবার তার বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের এক আধিকারিক বলেন, দুর্ভাগ্যজনক ও দুঃখের ঘটনা। কেরলের ডাক্তাররা এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করবেন। এই ঘটনা হওয়া উচিত নয়। এই পরিবেশে কাজ করতে পারা যায় না। এটা মানা যায় না। জীবন বাঁচানোর সময় আমাদের জীবন বিপদের মধ্যে রয়েছে। আমরা এই ঘটনায় ক্রুদ্ধ ও দুঃখের মধ্যে রয়েছি। ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের ওই আধিকারিক বলেন, ডাক্তার হাউস সার্জেন। তিনি আজিজিয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন। তালুক হাসপাতালে প্রশিক্ষণের জন্য গিয়েছিলেন।