নয়াদিল্লি: ঋতুস্রাবের সময় অনুভূত হওয়া ব্যথার কারণে, কর্মক্ষেত্র এবং শিক্ষাক্ষেত্র থেকে ছুটির আবেদন চেয়ে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচুড় এই মামলার শুনানির আবেদন গ্রহণ করেছেন। রাজ্যগুলি এই বিষয়ে কী ভাবছে, বা এ বিষয়ে তাদের নির্দেশিকা কী তা জানতে চেয়ে আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি শুনানির দিন ধার্য করেছেন প্রধান বিচারপতি।
শীর্ষ আদালতের কাছে করা আবেদনে বলা হয়েছে , ঋতুস্রাবের সময় ছুটি মঞ্জুর করা না হলে, তা সংবিধানের ১৪ নং ধারা লঙ্ঘন করে। মহিলারা তাঁদের ঋতুস্রাব চলাকালীন শারীরবৃত্তীয় এবং মানসিক সমস্যায় ভোগেন। তাই ভারতের নাগরিকত্ব আছে এমন সব মহিলাদের ক্ষেত্রে নতুন নিয়ম চালু করা উচিত। আইনজীবী বিশাল তিওয়ারি আবেদনপত্র সুপ্রিম কোর্টে জমা দিয়েছেন। বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের অধীন একটি বেঞ্চ এই মামলা শুনবে।
মেয়েদের শারীরবৃত্তিয় সমস্যা নিয়ে গোপনীয়তা রক্ষার সেকেলে মানসিকতায় বদল এসেছে অনেকটাই। বহুকাল ধরে ঋতুস্রাব নিয়ে চুপ করে থাকা মানসিকতাতেও এসেছে বদল। পুরানো রীতি ভেঙে মাসের চারটে দিন ছুটি বরাদ্ধ করেছে বিশ্বের বিভিন্ন সংস্থা। বিদেশের সেই রীতি ভাঙা নিয়মের আওতায় আসতে চেয়ে সুইগি,বাইজু’স, জোমাটো সংস্থায় কর্মরতা মহিলারাও ছুটির আবেদন করেছেন। তবু আজও ভারতীয় নারীদের বেশিরভাগ অংশ মুখ ফুটে তাঁদের শারীরিক সমস্যার কথা বলতে অস্বস্তি বোধ করেন। তাই কর্মক্ষেত্রে কর্মীদের সুবিধা-অসুবিধার কথা মাথায় রেখেই এই নীতি চালু করার আবেদন করা হয়েছে।