নয়াদিল্লি: কংগ্রেস ছাড়া বিরোধী ঐক্য (Opposition Unity) গড়ার কোনও উদ্যোগই (Initiative) সফল হবে না বলে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব আবারও জানিয়ে দিল। কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক (Congress General Secretary) জয়রাম রমেশ (Jayram Ramesh) বলেন, আমাদের কারও সার্টিফিকেটের (certificate) প্রয়োজন পড়ে না। কারণ আমরা জানি, কংগ্রেস ছাড়া কোনও বিরোধী ঐক্য সম্ভব নয়। জয়রাম এবং দলের অপর সাধারণ সম্পাদক কে সি বেণুগোপাল ( KC Venugopal) জানান, রায়পুরে কংগ্রেসের প্লেনারি অধিবেশনে (Plenary Session) বিরোধী ঐক্য নিয়ে পূর্ণাঙ্গ আলোচনা হবে। সেখান থেকেই দিগনির্দেশ দেওয়া হবে।
পাটনায় সিপিআই (এমএল)-এর পার্টি কংগ্রেস উপলক্ষে তিনদিন নানা সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখান থেকে বিজেপি বিরোধী ঐক্যের ডাক দেওয়া হয়। বিভিন্ন দিনে ওই সব সেমিনারে যোগ দেন সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম, ফরওয়ার্ড ব্লক নেতা জি দেবরাজন, আরএসপি নেতা মনোজ ভট্টাচার্য প্রমুখ। শনিবার শেষ দিনে উপস্থিত ছিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার, আরজেডি নেতা এবং বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব, প্রবীণ কংগ্রেস নেতা সলমন খুরশিদ। সেখানে জেডিইউ নেতা (JDU leader) নীতীশ কুমার (Nitish Kumar) বলেন, কংগ্রেসকে বিজেপি বিরোধী ঐক্য গড়ে তোলার ব্যাপারে উদ্যোগ নিতে হবে। কংগ্রেস নেতা সলমন (Salman Khurshid0 খুরশিদকে নীতীশ বলেন, আপনার মাধ্যমে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতাদের কাছে এই অনুরোধ রাখছি। আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবও (RJD Leader Tejaswi Yadav) একই কথা বলেন।
আরও পড়ুন: DA Pen Down: ‘ন্যায্য’ ডিএ-র দাবিতে রাজ্যজুড়ে কর্মবিরতি চলছে, উপেক্ষা সরকারি ফতোয়াকে
রবিবার দুই কংগ্রেস নেতা বেণুগোপাল এবং জয়রাম বলেন, আমরা আমাদের ভূমিকা সম্পর্কে সম্পূর্ণ অবগত। তাঁরা অবশ্য নীতীশ কুমারের বক্তব্যকে সমর্থন জানিয়ে বলেন, তিনিও মনে করেন, কংগ্রেসকেই দায়িত্ব নিতে হবে। রায়পুরের প্লেনারিতে এ ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা হবে।
জয়রাম নাম না করে তৃণমূলকেও (TMC) বিঁধতে ছাড়েননি। তিনি বলেন, কিছু রাজনৈতিক দল আছে, যারা রাজ্যসভার কংগ্রেস দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়্গের ডাকা সভায় আসে। কিন্তু তাদের কার্যকলাপ পরোক্ষে কেন্দ্রের শাসকদলকেই সাহায্য করে। কংগ্রেস কখনওই বিজেপির সঙ্গে কোথাও হাত মেলায়নি। বিজেপি সম্পর্কে আমাদের দুমুখো নীতিও নেই। তিনি জানান, কংগ্রেস আদানি ইস্যুতে যৌথ সংসদীয় কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছে। কিন্তু অনেক দল তার বিরোধিতা করে।
উল্লেখ্য, তৃণমূল কিছুতেই বিরোধী ঐক্যের ক্ষেত্রে কংগ্রেসের নেতৃত্ব মানতে চায় না। তাই তারা অধিকাংশ সময়ই মল্লিকার্জুনের ডাকা সভায় যোগ দেয় না. কখনও যোগ দিলে কম গুরুত্বপূর্ণ কাউকে পাঠায়। অতীতে অনেক সময়ই দেখা গিয়েছে, সরকারের বিরুদ্ধে ভোটাভুটিতে অনুপস্থিত থেকে তৃণমূল লোকসভা বা রাজ্যসভায় বিজেপিকে অস্বস্তির হাত থেকে বাঁচিয়ে দিয়েছে। এবার আদানি ইস্যুতে যৌথ সংসদীয় কমিটি গঠনের যে দাবি কংগ্রেস করেছে, তারও বিরোধিতা করেছে তৃণমূল। তারা সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে তদন্তের দাবি তুলেছে। রাজনৈতিক মহল মনে করেছে, জয়রামের ইঙ্গিত তৃণমূলেরই দিকে।