নয়াদিল্লি: আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে মার্কিন গবেষণা সংস্থা হিনডেনবার্গের অভিযোগের তদন্তে আরও ছয় মাস সময় চাইল নিয়ন্ত্রক সংস্থা সেবি (SEBI)। শনিবার সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) কাছে তারা এই আর্জি জানিয়েছে। সেবির দাবি, এই ধরনের তদন্ত করতে অন্তত ১৫ মাস সময় লাগে। সে ক্ষেত্রে তারা মাত্র ছয় মাস (Six Months) সময় চাইছে।
ওই মার্কিন সংস্থা অভিযোগ করে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Prime Minister Narendra Modi) ঘনিষ্ঠ গৌতম আদানির (Adani) শিল্প গোষ্ঠী তাদের বিভিন্ন সংস্থার শেয়ার দর কারচুপি করে বাড়িয়ে দেখিয়েছে। এতে বিপুল পরিমাণ দুর্নীতির সন্ধান মিলেছে। বিরোধীদের অভিযোগ, এলআইসি, স্টেট ব্যাঙ্কের মতো নানা সরকারি প্রতিষ্ঠানের বিশাল পরিমাণ টাকা আদানিদের সংস্থাগুলিতে ঢালা হয়েছে। কংগ্রেসের নির্দিষ্ট অভিযোগ, ২০ হাজার কোটি টাকা আদানিদের সংস্থায় বিনিয়োগ করা হয়েছে। এর ফলে এলআইসি, স্টেট ব্যাঙ্কের আমানতকারীদের ভবিষ্যতে সমস্যায় পড়তে হবে। এক ধাপ এগিয়ে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি।পার্টির নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল দিল্লি বিধানসভায় অভিযোগ করেন, প্রধানমন্ত্রীর টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে আদানিদের সংস্থায়।
হিনডেনবার্গের রিপোর্ট নিয়ে দেশে তুমুল হই চই হয়। বিরোধী কংগ্রেস এবং আরও কিছু দল এই কেলেঙ্কারির তদন্তের জন্য যৌথ সংসদীয় কমিটির দাবি তোলে। যদিও তৃণমূল কংগ্রেস যৌথ সংসদীয় কমিটির বিরোধী। এই ইস্যুতে সংসদের অধিবেশন চলতেই পারেনি। বিজেপির নেতারা এবং প্রধানমন্ত্রী এই রিপোর্ট নিয়ে মুখে একেবারে কুলুপ এঁটেছেন। তার জল গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে। সুপ্রিম কোর্ট একটি কমিটি গঠন করে দেয় অভিযোগ খতিয়ে দেখতে। পাশাপাশি গত ২ মার্চ শীর্ষ আদালত সেবিকে দুই মাসের মধ্যে তদন্ত করতে বলে।
সেবি শনিবার জানায়, তারা ছয় মাস সময় চায়। ইতিমধ্যে সেবি আদানিদের সাতটি সংস্থার কাছে যাবতীয় নথি চেয়ে পাঠিয়েছে। কংগ্রেস এবং তৃণমূল এদিনই সেবির এই সময় চাওয়ার নিন্দা করেছে। কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক এবং সাংসদ জয়রাম রমেশ টুইট করে বলেন, সেবির সময় চাওয়া মানে গোটা বিষয়ে জল ঢেলে দেওয়া। টুইটে সরব হয়েছেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রও। তিনি বরাবরই আদানিদের বিরুদ্ধে মুখর। আদানিরা অবশ্য হিনডেনবার্গের বিরুদ্ধে মামলা করার হুমকি দিয়েছে অনেক আগেই।