পানাজি: ২০০৪ সালের লোকসভা ভোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছিলেন নাফিসা আলি৷ ১৭ বছর পর ফের একসঙ্গে ফ্রেমবন্দি হলেন তাঁরা৷ মমতার সেদিনের প্রতিপক্ষ আজ তৃণমূলের সৈনিক৷ শুক্রবার বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে গোয়া তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন নাফিসা৷ মমতার দলে যোগ দিয়ে প্রাক্তন ফেমিনা মিস ইন্ডিয়া বলেন, ‘পরিবর্তনের সঙ্গী হতেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছি৷’
আরও পড়ুন: সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছে, ৭ বছর ধরে শুধুই হারছে, গোয়ায় দাঁড়িয়ে কংগ্রেসকে বিঁধলেন মমতা
রাজনীতির আঙিনায় অনেক আগেই পা রেখেছিলেন নাফিসা৷ কিন্তু সফল হননি৷ ২০০৪ সালে দক্ষিণ কলকাতা লোকসভা কেন্দ্রের কংগ্রেসের তারকা প্রার্থী ছিলেন তিনি৷ কিন্তু মমতার কাছে বিপুল ভোটে হেরে যান৷ সেই তিনি আজ ঘাসফুল শিবিরে যোগ দিয়ে তৃণমূল নেত্রীকে প্রশংসায় ভরিয়ে দেন৷ বলেন, ‘তৃণমূলে যোগ দিয়ে গর্বিত বোধ হচ্ছে৷ মমতাকে অনেকদিন ধরেই চিনি৷ মমতা প্রমাণ করে দিয়েছেন বিজেপিকে রুখে দেওয়ার ক্ষমতা এক তাঁর রয়েছে৷ ভারতকে আরও উন্নত করে তুলতে মমতার প্রচুর সমর্থন দরকার৷ পরিবর্তনের সঙ্গী হতেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছি৷’
আরও পড়ুন: গোয়ায় ঘাস ফুলের কোর্টে ঝড় তুলতে তৃণমূলের পেজে লিয়েন্ডারের অভিষেক
দেশের মডেল দুনিয়ার এক উজ্জ্বল নক্ষত্র নাফিসা আলি৷ ৮০-৯০ দশকে নিজের রূপের ছটায় পুরুষ মনে ঝড় তুলেছিলেন৷ তাঁর জন্ম থেকে বেড়ে ওঠা সব কলকাতাতেই৷ মুসলিম পরিবারে জন্ম হলেও তাঁর মধ্যে রক্ষণশীলতার কোনও ছাপই ছিল না৷ ছক ভাঙা কাজে তিনি ছিলেন পারদর্শী৷ ৭০-এর দশকে নির্দ্বিধায় সুইম স্যুটে জলকেলি করতেন৷ পর পর তিন বছর জাতীয় স্তরের সাঁতার চ্যাম্পিয়ন ছিলেন৷ ১৯৭৬ সালে জেতেন ফেমিনা মিস ইন্ডিয়া টাইটেল৷ এর পরই বলিউডে প্রবেশ৷ তবে নিজেকে কেবলমাত্র অভিনয়ের মধ্যে বেঁধে রাখেননি৷ অনেক সমাজ সেবামূলক কাজেও জড়িত ছিলেন৷ মাঝে কয়েক বছর ক্যানসারে ভোগেন৷ সেই মারণ রোগকেও হারিয়ে জীবনে চ্যাম্পিয়ন হন নাফিসা৷