মোরাদাবাদ: তিন বছর আগে ওদের কদর ছিল খুব। করোনা পর্বে সারা দেশে লকডাউন। মানুষ ঘরবন্দি। কিন্তু ওদের কোনও ছুটি নেই। বরং আট ঘন্টার বদলে ওদের ডিউটি ২৪ ঘন্টাই। করোনা রোগীর খোঁজ পেলেই হয় তাদের হাসপাতালে নিয়ে আসা, কিংবা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়া। সুস্থ হলে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া বা কখনও রোগী মারা গেলে তাদের সৎকারের ব্যবস্থা করা। প্রায় সব দায়িত্ব ওদেরই। ওরা মোরাদাবাদে পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায় হাসপাতালের অ্যাম্বুল্যান্স চালক। ওরা তখন করোনা যোদ্ধা। ১০৮ জন চালককে যাতে সব সময় হাতের সামনে পাওয়া যায়, তাই তাঁদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছিল হাসপাতাল চত্বরেই। সেখানে তাঁদের সুন্দর থাকার ব্যবস্থা ছিল।
কিন্তু এখন করোনার প্রকোপ অনেক কম। তাই ওঁদের কদর ফুরিয়েছে। এই কারণে ওঁদের বাড়ি থেকে বার করে দেওয়া হয়েছে। ওঁদের আশ্রয় এখন খোলা আকাশের নীচে। ক্ষুব্ধ চালকদের অভিযোগ, এখন তাঁদের দেখার কেউ নেই। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ হাত তুলে দিয়েছে। তাঁরা কে কোথায় কী ভাবে থাকেন, কেউ খোঁজ নেয় না। এই আক্ষেপই ঝরে পড়ল চালকদের মুখ থেকে।
আরও পড়ুন: Rahul Gandhi: মুসেওয়ালার মৃত্যুর ৯ দিন পর পরিবারের সঙ্গে দেখা রাহুলের
হাসপাতালের চিফ মেডিক্যাল অফিসার এম সি গর্গ প্রথমে কোনও কথাই বলতে চাইছিলেন না ক্যামেরার সামনে। অনেকবার মুখ লুকানোর চেষ্টা করেন। পরে গর্গ বলেন, অ্যাম্বুল্যান্স চালকদের হাসপাতালে থাকতে দেওয়াটা কোনও নিয়মের মধ্যে পড়ে না। তখন একটা অন্যরকম পরিস্থিতি ছিল। তাই তাদের এখানে থাকতে দেওয়া হয়েছিল। তিনি জানান, ওদের সমস্যার কথা ভেবে দেখা হচ্ছে।