ওয়েব ডেস্ক: ভারতে চিতার (Cheetah) সংখ্যা বাড়াতে আবারও নতুন উদ্যোগ নেওয়া হল। চিতা পুনর্বাসন প্রকল্পে ফের নতুন সংযোজন। এবার আফ্রিকার দক্ষিণাংশের দেশ বৎসোয়ানা (Botswana) থেকে চারটি চিতা নিয়ে আসা হবে মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) কুনো জাতীয় উদ্যানে। মধ্যপ্রদেশ সরকার জানিয়েছে, মে মাসের মধ্যেই এই চিতাগুলি ভারতে এসে পৌঁছবে। চিতা আনার বিষয়ে বৎসোয়ানা সরকারের সঙ্গে ইতিমধ্যেই একটি চুক্তি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
গত শুক্রবার ভোপালে চিতা সংরক্ষণ ও পুনর্বাসন প্রকল্প নিয়ে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব, কেন্দ্রীয় বনমন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদব, এবং জাতীয় ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষর (National Tiger Conservation Authority) আধিকারিকরা। সেখানেই বৎসোয়ানা থেকে প্রথম পর্যায়ে চারটি চিতা আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দ্বিতীয় ধাপে আরও চারটি চিতা ভারতে নিয়ে আসার পরিকল্পনা রয়েছে বলে খবর। তবে দ্বিতীয় পর্যায়ের চিতাগুলি কোন দেশ থেকে আনা হবে তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। কেনিয়ার সঙ্গে সেই বিষয়ে আলোচনা চলছে বলে খবর।
আরও পড়ুন: নেই জল, রাস্তা, স্কুল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র! গুজরাত মডেলের বাস্তব চিত্র
জাতীয় ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভারতে চিতা প্রকল্পে এখনও পর্যন্ত ১১২ কোটি টাকা খরচ হয়েছে, যার মধ্যে কেবলমাত্র মধ্যপ্রদেশেই খরচ হয়েছে প্রায় ৭৫ কোটি টাকা। শুধু কুনো নয়, আগামী দিনে গান্ধী সাগর অভয়ারণ্যকেও চিতার বাসস্থান হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে খবর। মধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থানের সীমান্তে অবস্থিত এই অভয়ারণ্যে চিতাদের পুনর্বাসনের জন্য দুই রাজ্যের মধ্যে সমঝোতা চলেছে। বনকর্মীদেরও বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে কুনো জাতীয় উদ্যানে ২৬টি চিতা রয়েছে। এর মধ্যে ১৬টি চিতা মুক্তভাবে জঙ্গলে রয়েছে এবং ১০টি রয়েছে নির্ধারিত ঘেরা এলাকায়। উল্লেখযোগ্যভাবে, এই চিতাদের মধ্যে ১৪টি শাবকের জন্ম হয়েছে ভারতে।
দেখুন আরও খবর: